শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বক্তব্য কীভাবে শুরু করবেন ও শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা কীভাবে শেষ করবেন। শিক্ষক দিবস উপলক্ষে কিছু কথা খুব সুন্দর করে এই পোস্টটির মধ্যে দেওয়া আছে । আমরা আশা রাখছি আমাদের দেওয়া এই শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা PDF ফাইল টি আপনার বক্তৃতায় যথেষ্ঠ সহযোগিতা করবে এবং অনুষ্ঠানের সেরা বক্তৃতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রতি বছর 5 সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালিত হয়। এই দিনে স্কুল থেকে কলেজ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে শিক্ষক দিবস পালিত হয়। বিদ্যালয়ে বক্তৃতা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে, আপনিও যদি শিক্ষক দিবসের দিন বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছেন, বা সাধারণভাবে বক্তৃতা দিতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
শিক্ষক দিবস পালিত হয় 5 সেপ্টেম্বর। এই দিনে ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ও দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত শিক্ষক, সুপরিচিত লেখক ও প্রশাসক এবং দার্শনিক। একজন শিক্ষকই কেবল মানুষকে সাফল্যের উচ্চতায় নিয়ে যান এবং বলেন কিভাবে জীবনে সঠিক ও ভুলের পরীক্ষা করতে হয়।
বলা হয়ে থাকে, শিশুর জীবনে তার মা হলেন প্রথম শিক্ষক, যিনি আমাদের এই পৃথিবী সম্পর্কে সচেতন করেন। অন্যদিকে, শিক্ষক আছেন, যাঁরা আমাদেরকে পার্থিব জ্ঞান দেন। একজন কুমোর যেমন মাটিকে পাত্রের আকৃতি দেয়, তেমনি শিক্ষক ছাত্রের জীবনকে করে তোলে মূল্যবান এবং আকারপূর্ণ। শিক্ষকের সাথে আমাদের সম্পর্ক বুদ্ধিবৃত্তিক এবং আংশিক।
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বক্তব্য
শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা – ১
মাননীয় শিক্ষক ও শিক্ষিকাগণ এবং আমার প্রিয় সকল বন্ধুদেরকে সুপ্রভাত জানাই। আমরা সকলেই জানি আজ আমরা সকলে শিক্ষক দিবস উদযাপন করার জন্য এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমার নাম প্রশান্ত মন্ডল ( আপনার নাম বলবেন), আমি আজকের এই শিক্ষক দিবসের বিশেষ মুহূর্তে একটি ছোট বক্তৃতা আপনাদেরকে সকলের মাঝে তুলে ধরবো। সবার প্রথমে আমি আমার শিক্ষক এবং শিক্ষিকাগণ কে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আজকে আমাকে এই সুযোগ করে দিয়েছেন।
শিক্ষক আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষক ছাড়া যোগ্য সমাজ ও উজ্জ্বল জীবন কল্পনাতীত। প্রতি বছর ৫ই সেপটেম্বর আমরা শিক্ষক দিবস পালন করি এবং আজকের দিনেই ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
১৯৬২ সালে ছাত্রদের অনুরোধে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি হন। তিনি ছিলেন একজন বিদ্বান ব্যক্তি ও উপদেষ্টা। ভারতবর্ষের সকল বিদ্যার্থী তাকে সম্মান জানানোর জন্য আজকের দিনে শিক্ষক দিবস পালন করে থাকে।
শিক্ষকরা হলেন যুব সমাজের মূল স্তম্ভ। ছাত্রদের চরিত্র গঠনে তাদের ভূমিকা অপরিসীম। আরও বলা হয় শিক্ষকরা মাতা-পিতার থেকেও বড় কারণ মাতা-পিতা শুধু আমাদের জন্ম দেয় কিন্তু একজন সফল মানুষের পেছনে শিক্ষকের যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে, তা নতুন করে বলার কিছু নেই।
সেই শিক্ষক যে পড়াশোনার ক্ষেত্রেই হতে হবে, তা নয়। তিনি থাকতে পারেন জীবনের যে কোনও ক্ষেত্রেই। তিনি যে পড়ুয়াকে শেখাবেন , তাই নয়। তিনি তাকে জীবনে চলার পথে পরামর্শ দেবেন, ব্যর্থতায় পাশা দাঁড়িয়ে উৎসাহ দেবেন, সাফল্যের দিনে নতুন লক্ষ্য স্থির করে দেবেন। তিনি তাকে শুধু সফল নয়, একজন ভাল মানুষ হতে শেখাবেন।
সুতরাং আমাদের উচিত সব সময় তাদের যোগ্য সম্মান ও ভালোবাসা দেওয়া। তারা ক্রমাগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষিত করে তোলেন। তাদের অনুপ্রেরণা জন্যই আমরা জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারি।
সব শেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল সভ্যগণ কে আরো একবার আমার শ্রদ্ধা পূর্বক প্রণাম জানাই এবং বন্ধুবান্ধব সহপাঠীবৃন্দ তথা সমগ্র দেশের সাহায্যকারী সকলকে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের এই ছোটো বক্তব্যটি এখানেই শেষ করলাম। ধন্যবাদ নমস্কার সবাই ভালো থাকবেন।
- আরও পড়ুন:
- 👉 ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন এর জীবনী, বানী ও রচনা বাংলা
- 👉 ৭ টি বাছাই করা শিক্ষক দিবসের কবিতা
- 👉 ৫০ টি সেরা শুভ শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা, ক্যাপশন
শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা PDF
ভারতবর্ষে শিক্ষক দিবস পালন করা হয় ৫ সেপ্টেম্বর। এই দিনটি একজন আদর্শ শিক্ষক ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন। তাঁর জন্মদিন অনুসারেই পালন করা হয় ‘শিক্ষক দিবস’। যিনি ছিলেন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি, এবং ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি। ভারতবর্ষের সকল বিদ্যার্থী তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য তাঁর জন্মদিনে শিক্ষক দিবস পালন করে থাকে।
১৮৮৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তামিলনাডুর তিরুট্টানিতে একটি দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা সচ্ছল ছিল না। তাঁর বাবা স্থানীয় জমিদার বাড়িতে স্বল্প বেতনের কর্মচারি ছিলেন। তার বাবা কখনই চাননি তাঁর ছেলে ইংরেজি শিখুক, বরং তিনি চেয়েছিলেন তাঁর ছেলে পূজারি হোক। ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ মেধাবী ছাত্র হওয়ার কারণে জীবনে অসংখ্য স্কলারশিপ পেয়েছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি নিজের বৃত্তির সহায়তায় পড়াশুনা চালাতেন।
শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা PDF : ফাইল টি ডাউনলোড করার জন্যে নিচের দেওয়া বক্সে ক্লিক করুন।
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে কিছু কথা
শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা – ২
আজ ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালের শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক শিক্ষিকা মহাশয়, মা-বাবা ও সকল অতিথিবৃন্দকে শ্রদ্ধা পূর্বক প্রণাম জানাই। এছাড়া আমার স্নেহের সহপাঠী ভাই-বোন ও দাদা দিদি সকলকে আন্তরিক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে দু একটি কথা উপস্থাপন করছি। আমরা আমাদের বাবা মায়ের কাছ থেকে জীবন পাই কিন্তু সেই জীবন কিভাবে কাটাতে হয় তা শিক্ষকের চেয়ে ভালো কেউ বলতে পারে না।
পিতা মাতার পরে আমাদের সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব আমাদের শিক্ষকদের। শিক্ষক শিক্ষিকারা হলেন আমাদের জীবনের প্রদীপ। যারা নিজেদের পুড়িয়ে আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করে জ্ঞানের আলোয় ভরিয়ে তোলেন। একজন সফল মানুষের পেছনে শিক্ষকের যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তা নতুন করে বলার কিছু নেই। শিক্ষক মহাশয় শুধু যে শিক্ষাদানই করেন তাই নয়। তিনি একজন শিক্ষার্থীকে জীবনে চলার পথে পরামর্শ দেন। ব্যর্থতার পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দেন।
সাফল্যের দিনে নতুন লক্ষ্য স্থির করে একজন আদর্শ মানুষ হওয়ার দান করেন। তেমনি আজকের এই বিশেষ দিনটির তাৎপর্য খুঁজতে গিয়ে জানা যায় যে একজন আদর্শ শিক্ষক ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান ৫ই সেপ্টেম্বর ১৮৮৮ সালে তামিলনাড়ুর তিরুট্রানি তে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি। তিনি একধারে রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ও অধ্যাপক। তিনি তার ছাত্র জীবনে অতি মেধাবী ছিলেন। তিনি কখনও কোন পরীক্ষায় দ্বিতীয় হন নি বিভিন্ন বৃত্তির মাধ্যমেই তার ছাত্র জীবন এগিয়ে চলে।
তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তার গুণমুগ্ধ ছাত্র ও বন্ধুরা তার জন্মদিন পালন করতে চাইলে তিনি বলেন জন্মদিনের পরিবর্তে ৫ই সেপ্টেম্বর যদি শিক্ষক দিবস উদযাপিত হয় তবে আমি বিশেষ রূপে অনুগ্রহ লাভ করবো। তিনি বলেন আমাদের শিক্ষকরা শুধু আমাদের শেখান না আমাদের ভালোমন্দের পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করেন।। তার এই বক্তব্য আমাদের বুঝতে সাহায্য করে যে জীবনে শিক্ষক থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা কতো ভাগ্যবান যে আমরা আমাদের শিক্ষকদের কাছ থেকে এত কিছু শিখেছি, এখনো শিখছি এবং ভবিষ্যতেও এভাবে শিখতে থাকবো। সেই থেকেই এই দিনটি ভারতের শিক্ষক দিবস রূপে পালিত হয়ে আসছে।
সব শেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল সভ্যগণ কে আরো একবার আমার শ্রদ্ধা পূর্বক প্রণাম জানাই এবং বন্ধুবান্ধব সহপাঠীবৃন্দ তথা সমগ্র দেশের সাহায্যকারী সকলকে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের এই ছোটো বক্তব্যটি এখানেই শেষ করলাম। ধন্যবাদ নমস্কার সবাই ভালো থাকবেন।
শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা
শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা – ৩
আজ ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীবৃন্দ, মা- বাবা, সভাপতি মহাশয় ও অথিতিবৃন্দ সকলকে শ্রদ্ধাপূর্বক প্রনাম জানাই; এছাড়া আমার স্নেহের সহপাঠী, ভাই-বোন ও বয়োজ্যেষ্ঠ দাদা-দিদি এবং আমার আপনজন যাহাদের কাছ থেকে আমি কোনো না কোনো সময় সুশিক্ষা গ্রহণ করেছি তাদের সকলকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে দু-একটি কথা উপস্থাপন করছি।
শিক্ষক দিবস সম্পর্কে দুটি বাক্য
একজন সফল মানুষের পিছনে শিক্ষকের যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে, তা নতুন করে বলার কিছু নেই। শিক্ষক মহাশয় শুধু যে শিক্ষাদানই করেন তাই নয়। তিনি একজন শিক্ষার্থীকে জীবনে চলার পথে পরামর্শ দেন, ব্যর্থতায় পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দেন, সাফল্যের দিনে নতুন লক্ষ্য স্থির করে একজন আদর্শ মানুষ হওয়ার শিক্ষাও দেন।
আপনাদের কাছ থেকে আমরা অনেক মূল্যবান শিক্ষা পাচ্ছি যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজে লাগে। আপনারা আমাদের মনে কৌতূহল ও জ্ঞানের আশা জাগিয়ে তুলেছেন। আমাদের জীবন গঠনে শিক্ষকদের বিশেষ ভূমিকা থাকে। এই দিনটিতে আপনাদের সেই ভূমিকার কথা আমরা স্বীকার করি এবং উদযাপন করি। আপনারা আমাদের অনুপ্রেরণা। আপনাদের কাছ থেকে আমরা মূল্যবোধ, নীতিশিক্ষা লাভ করি। এই বিশেষ দিনটিতে আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা অটুট থাকবে। আপনাদের নির্দেশ মেনে চলব।
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ও কিছু কথা : গুলি আপনার কেমন লাগলো মন্তব্য করে জানাবেন যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না আরও নতুন নতুন পোস্ট পাওয়ার জন্যে আমাদের ওয়েবসাইট টি সাবস্ক্রাইব করতে পারেন নমস্কার।
অসাধারন বক্তব্য, এটি আমি কলেজ এ বলেছিলাম, খুবই প্রসংশা পেয়েছি