নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাণী: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান অনস্বীকার্য। এদেশের আট থেকে আশি সকলে তাঁকে আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। দেশকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্তি দিতে প্রাণপ্রণ লড়েছিলেন এই বঙ্গ সন্তান। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি, ওড়িশার কটক শহরে তাঁর পিতা জানকীনাথ বসু ও মাতা প্রভাবতী দেবী।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু নামের মধ্যেই জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির বুক চাপা আবেগ। সাহসী এই বীর সন্তান কে ঘিরে যে সমস্ত অধ্যায় লেখা হয়েছে তার একাংশে যেমন যুদ্ধের দামামার শব্দ রয়েছে, তেমনই তার অন্য অংশে রয়েছে রহস্যের মেঘ। এই দুইয়ের মিশেলে নেতাজি সুভাষ বাঙালি তথা ভারতবাসীর কাছে এক যুগ পুরুষের নাম। যাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক চলার পথের প্রত্যেকটি দিনের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। আজকের এই নিবন্ধে তেমনই কিছু নেতাজির অমর বাণী তুলে ধরা হলো।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাণী
- “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। শুধুমাত্র রক্ত দিয়েই স্বাধীনতা জয়লাভ করা সম্ভব।”
- “ধনীর গুরুত্বহীন অতিথি হওয়ার চেয়ে গরিবের প্রধান অতিথি হওয়া অনেক সম্মানের।”
- “শুধুমাত্র চিন্তার জন্য কারও মৃত্যু হতে পারে কিন্তু সেই চিন্তা আজীবন অমৃত থাকে। একজন থেকে আরেকজনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে সেই চিন্তা।”
- মনে রাখবেন সবথেকে বড় অপরাধ হলো অন্যায় সহ্য করা, আর ভুলের সাথে বোঝাপড়া করা !
- “টাকা পয়সা দিয়ে কখনো স্বাধীনতা জয় করা যায়না। স্বাধীনতার জন্য দরকার সাহস, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে।”
- ধর্মের নামে, দেশের নামে বা রাজনীতির নামে কোনও প্রকার গোঁড়ামি যেন আমাদের শিক্ষা মন্দিরে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রাখা উৎসাহিত !
- “ভারত আমাদের ডাকছে, রক্ত দিয়ে রক্তকে ডাকছে, আর সময় নেই অস্ত্র তোলো, ঈশ্বর চাইলে শহিদের মৃত্যু বরণ করে নেব আমরা।”
- “সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে নেতাজির বাণী, ‘আমাদের দেশের সকলের সমস্যা হল দরিদ্রতা, রোগ, অশিক্ষা, যে দিন মানুষের সামাজিক চেতনা বোধ হবে সেই দিন এই সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে।’”
- সর্বদা সত্যতার মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করতে হবে।”
- আরও পড়ুন:
- নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু জীবনী PDF
- “নিজের প্রতি সৎ হলে সারা বিশ্বের প্রতি কেউ অসৎ হতে পারবেনা।”
- “জীবনে প্রগতির আশা ব্যাক্তিকে যেকোনো প্রকার ভয় এবং সন্দেহ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।”
- “কোনও একটা চিন্তনের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।”
- “আমরা যখন দাঁড়াব, আজাদহিন্দ ফৌজকে গ্র্যানাইটের দেওয়াল হয়ে দাঁড়াতে হবে। আমরা যখন মার্চ করব তখন আজাদহিন্দ ফৌজকে স্টিমরোলার হতে হবে।”
- “যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে , তাহলে জীবন বাঁচাটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়।”
- “সত্যান্বেষণ না করা পর্যন্ত আমরা চুপ করে বসে থাকব না, বা থাকা উচিত নয়।”
- “বাস্তব বোঝা কঠিন। তবে জীবনকে সত্যতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সত্যকে গ্রহণ করতে হবে।”
- “স্বাধীনতার জন্য নিজের রক্তদিয়ে মূল্য প্রদান করা আমাদের কর্তব্য।”
- “যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে , তাহলে জীবন বাঁচাটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়।”
- “নরম মাটিতে জন্ম নিয়েছে বলেই বাঙালীর এমন সরল প্রাণ।”
- “মানুষ যতদিন বেপরোয়া ততদিন সে প্রানবন্ত।”
- “প্রকৃতির সঙ্গ না পেলে জীবনটাই বৃথা, ঠিক যেন মরুলোকে নির্বাসনের মত।”
- “স্বাধীনতা কেউ দেয় না, অর্জন করে নিতে হয়।”
- “মনে রাখতে হবে যে সবচেয়ে বড় অপরাধ হল অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ।”
- “জগতের সব কিছু ক্ষণভঙ্গুর। শুধু একটা জিনিস ভাঙে না, সে বস্তু, ভাব বা আদর্শ।”
- মানুষ, টাকাকড়ি ,বাহ্যিক আড়ম্বর দিয়ে জয়লাভ বা স্বাধীনতা কেনা যায় না। আমাদের আত্মশক্তি থাকতে হবে, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে উৎসাহ দেবে।
- ভারত ডাকছে। রক্ত ডাক দিয়েছে রক্তকে। উঠে দাঁড়াও আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। অস্ত্র তোলো!….যদি ভগবান চান , তাহলে আমরা শহিদের মৃত্যু বরণ করব।
- কোনও একটা চিন্তনের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।
- মানুষ, টাকাকড়ি ,বাহ্যিক আড়ম্বর দিয়ে জয়লাভ বা স্বাধীনতা কেনা যায় না। আমাদের আত্মশক্তি থাকতে হবে, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে উৎসাহ দেবে।
- আমরা যখন দাঁড়াব, আজাদহিন্দ ফৌজকে গ্র্যানাইটের দেওয়াল হয়ে দাঁড়াতে হবে। আমরা যখন মার্চ করব তখন আজাদহিন্দ ফৌজকে স্টিমরোলার হতে হবে।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাণী: গুলো আপনার কেমন লাগলো মন্তব্য করে জানাবেন যদি পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না নমষ্কার আপনার দিনটি শুভ হউক।