WhatsApp Channel
Follow Now
Telegram Group
Follow Now
Last updated on July 4th, 2023 at 12:49 am
Love Letter in Bengali Language : প্রিয় বন্ধুরা তোমরা সবাই কেমন আছো, আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো তিনটি বাছাই করা মিষ্টি প্রেমের চিঠি। এই প্রেম পত্র গুলোর মাধ্যমে তুমি খুব সহজেই তোমার মনের কথা নিজের পছন্দের মানুষটির কাছে খুব সহজেই তুলে ধরতে পারবে।
প্রেম পত্র ১:
প্রিয়তমা শুনছো,
ভালোবাসি, খুব ভালোবাসি তোমায়। পরিমাপ করে হয়তো বলতে পারবো না, কতোটা ভালোবাসি তোমায়। ভালোবাসার ট্র্যাজেডি কোন গল্পে আমাকে বেকার বলতে পারো। আমার আর যে কাজ নেই, কিচ্ছু করার নেই।
তোমাকে ভালোবাসি, বেসে যাই প্রতিদিন নিয়ম করে। মাঝে মাঝে তোমাকে বিভিন্ন নামে ডাকি। বুঝেছো প্রিয়তমা? অনেকদিন আগে থেকেই তোমাকে ভাবতাম ব্যালেট ড্যান্সার ব্যালেরিনার মতো করে! কতো কি ভেবেছি, কতো ভালোবেসেছি তোমায়! বিশ্বাস করাতে পারবো না। অবুঝ শিশুর মতো ছিল সেই ভাবনাগুলো।
ভালবাসতে গিয়ে কতো কেঁদেছি, কতো হেসেছি তোমার কাছে হঠাৎ করে শুনে ফেলা সেই আমার প্রিয় কথাটি। পাগল! – তারপর শেষ চিঠি লিখেছি, আর লিখবো না বলে। সত্যি বলছি আমার ভেতরটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছিলো। তোমাকে ব্যালেরিনা ভেবে আমি আর লিখবো না, আর কাঁদবো না নিজের কোন ভুল হিসেবের করা কবিতার খাতায়!
তোমাকে বলেছি একটি নাম দাও, যেই নামে তোমাকে ডাকবো। দিলে তো নাই, উল্টো বলে দিলে ,আমি পারবো না! হুমায়ূন আহমেদের একটি কথা তখন খুব অনুভব করতাম- মানুষ নাকি অনেক কষ্টই সহ্য করতে পারে; কিন্তু প্রিয়জনের অবহেলা! সে কি সহ্য করার মতো? মানুষ এ কষ্ট সহ্য করেতে পারেনা।
আমি সহ্য করেছি। কাউকে কিচ্ছু বলিনি। বলতে পারো, আমি এখনও মানসিকভাবে বাচ্চাই রয়ে গেলাম! পার্ল, শুনছো? তোমাকে একটি চিঠি দিলাম। ভাবলাম এ নামটিতেই নতুন করে ভেবে নেবো তোমাকে। নতুন করে ভালবেসেছিলাম সে কয়দিন। ভালোবাসার নাকি রূপ পাল্টায়! আমারও পাল্টে প্রতিদিন।
আরও পড়ুন:
তোমাকে যখন ভাবি, আমি কি নিজের ভেতর ঠিক থাকি? না, কখনোই না। আরও বেশি ভালবাসতে গেলাম। কিন্তু সেই ভালোবাসা তোমার কাছে কেমন অসহ্য লেগেছিল। তাই না? তুমি তো জানোই ইচ্ছে করলেও আমি তোমাকে ভুলতে বা অন্যকিছু নিয়ে ভাবতে পারি না, এ হয়না।
তোমার অবহেলা আমার গা সয়ে যাওয়ার মতোই ছিল সারাজীবন। না, তোমাকে তো কখনও বলিনি, চল না আমরা ওখানে গিয়ে ঘুরে আসি। বলিনি কখনো, তোমার হাতটা একটু ধরতে দেবে? কখনো বলিনি বা ঈশ্বরের কাছে বিচার দেইনি, তিনি তোমার চোখকে কেন আমার কাছে টেনে নিয়ে যায়?
আমার তো এটিই চাওয়া, শুধুই আমাকে ভালবাসতে দাও, শুধু এটিই দাও প্লিজ! তোমার দিক থেকে শুধু এ অনুমতির সম্মতিই চেয়েছিলাম সারাজীবন। ব্যালেরিনা থেকে পার্ল! পার্ল টিকলো না। জানতাম সে টিকবে না। জোর করে কোন কিছুই পৃথিবীতে টেকানো যায় না। তুমি যে আমার কাছে সেই ছোট বেলার খেলার সাথীই রয়ে গেলে।
জীবনটা নাকি মাঝে মাঝে গল্পের মতো সুন্দর হয়, হয়তো বা! আমার গল্পে তোমাকে আর নাম দেবো না। কোন নামেই তোমাকে এখন মানিয়ে নিতে পারিনা। আমার গল্পে যদি কখনো তোমার নিজের নামটিই লিখতে পারি, অনেক অনেক বেশী রঙিন হয়ে উঠবে কাগজের পাতাগুলি।
তুমি আসবে বলেই , আকাশ মেঘলা বৃষ্টি এখনো হয়নি তুমি আসবে বলেই , কৃষ্ণচূড়ার ফুল গুলো ঝরে যায়নি তুমি আসবে বলেই, সোনালী স্বপ্ন ভীর করে আসে চোখে তুমি আসবে বলেই, আগামী বলছে দেখতে আসবো তোকে।
তুমি আসবে বলে, আমি স্বপ্ন দেখে যাই আর একটা করে দিন চলে যায়। যেভাবেই হোক, আমার হাতের স্পর্শ তুমি পাবেই! অপেক্ষায় থেকো, আর ভালো থেকো। আজ এখানেই – তোমার অনভিপ্রেত পাগলটা!
ইতি তোমার প্রিয়তম।
Love Letter in Bengali For Girlfriend
প্রেম পত্র ২:
প্রিয়তমা,
ওগো আমার প্রাণের প্রিয়তমা। শুরুতে তোমাকে জানাই বকুল ফুলের শূভেচ্ছা। আশা করি তা গ্রহন করবে। আমি প্রথম দেখাতেই তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি। সত্যিই তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি আর ভালবেসে যাব জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত।
একথা তুমি বিশ্বাস কর বা আর না কর। এতে আমার কোন যায় আসে না। আমি জানি জোর করে ভালবাসা হয় না, ভালবাসা শুধু মন দিয়ে অনুভব করতে হয়। সে ক্ষেত্রে ভাষার কোন প্রয়োজন হয় না।
তার পরেও লিখে প্রকাশ করছি তোমার কাছে আমার ভালবাসাকে। আর প্রেমের ক্ষেত্রে আমি সমান অধিকারে বিশ্বাসি। তুমি আমার প্রথম, আর তোমাকেই শেষ বলে এ হৃদয়ে স্থান দিয়েছি, জানিনা পত্র কিভাবে লিখতে হয় অশান্ত পৃথিবীর বুকে আমার এমন মানুষের অভাব হয়নি।
যা তোমাকে প্রথম দৃষ্টিতেই হৃদয়ে আপন করে নিয়েছি। কিছুদিনে পরিচয় মাএ তোমার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে গভীর ভাবে ভালবেসে ফেলেছি তোমাকে, তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিওনা , তুমি আমার প্রেম ভালবাসাকে ব্যার্থ হতে দিওনা।
আর তুমি যদি আমার ভালবাসাকে প্রত্যাখান কর তাহলে এই ব্যার্থ জীবনের জন্য এক মাএ দায়ী তুমি। প্রেমে করেছে রাজা ভিখারী, ওরা প্রেমের কারনে হয়েছে বৈরাগী। প্রেম ধর্ম বা জাতকে বিচার করে হয়না।
তাই আমি চাই আমার প্রতি তোমার সেচ্ছায় প্রেমের সম্বধনা। তোমার আচার ব্যবহার আমাকে মহনীয় করে তুলেছে। তাই তোমাকে ভালবাসি। তুমি না চাইলে আমি তোমাকে অভিসাপ দেবনা। শুধু আমার হৃদয়ের দরজা খুলে রেখেছি একান্ত ভাবে পাওয়ার আশায় সর্বক্ষণ যেন তোমাকেই নিয়ে ভাবতেই ভাল লাগে।
যখন ভাবি তখন আমার শরীলের সমস্ত শিরা উপশিরা বাজতে থাকে হয়তো তোমার প্রতি আমার ভালবাসার কোন খাদ নেই। তাই তোমাকে ভেবে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছিন।
ভবিষ্যতে ও কি হবে জানিনা, তোমাকে নিয়ে যখন ভাবি তখন মনে হয় তুমি আমার পাশেই আছ। তোমার সেই অপলক চাহনী ,মুখ ভরা মিষ্টি হাসি ,আর তোমার চঞ্চলতা বার বার আমার হৃদয়ে স্পষ্ট ভেসে ওঠে। তোমাকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারিনা,আমার চিন্তা চেতনা সে তোমাকে ঘিরে।
আমার জীবন যাত্রার একমাত্র সাথী তুমি।আরো কত কিছু বলতে চাই এ হৃদয় মুখের ভাষা হৃদয়ের কাঁন্না শুধু তোমার জন্যে। ভাল থেকো সুখে থেকো ,বিদায় নিবার আগে তোমার সুখি জীবন কামনা করে, আজকের মত এখানেই রাখলাম ।
তোমার উওরের আশায় রইলাম।
ইতি তোমার প্রিয়তম।
Bengali Love Letter For Boyfriend
প্রেম পত্র ৩:
প্রিয়তম,
তোমাকে কি বলে যে সম্বোধন করব বুঝতে পারছি না। তাই প্রিয় শব্দটার পর জায়গাটা খালি রাখলাম। তুমি তোমার ইচ্ছে মত কিছু একটা বসিয়ে নিয়ো।
যাই হোক, ভালো আছো? জানো, আমার চিঠিটা পাওয়ার পর তুমি চিঠিটা হাতে নিয়ে পড়ছ গভীর আগ্রহে। সেই দৃশ্যটা ভেবে আমি চিঠিটা লিখছি। কিন্তু তোমার মুখটা স্পষ্ট না। তাই বুঝতে পারছি না, এই চিঠি পেয়ে তোমার অনুভুতি কেমন। তবে তোমার অনুভূতি দেখার খুব শখ।
আচ্ছা আমাদের কি দেখা হবেনা? আর দেখা হবেই বা কেমন করে বল? তুমিও আমার শহর চেনোনা আর আমিও তোমার শহর চিনি না। এইটা কোন কথা? তাই বলে কি আমাদের দেখা হবে না? হবে হবে।
“তোমার আমার দেখা হবে মরণের পরে”।আচ্ছা! একটা ধাঁধার উত্তর দাও তো। ” তুমি থাকো ডালে ডালে, আমি থাকি জলে জলে। তোমার আমার দেখা হবে মরণের কালে। ”
ধাঁধার উত্তরটা দিতে পারলে একটা চকলেট দিবো। যেদিন দেখা হবে সেদিনই চকলেটটা দিবো। ভেবো না যে ফাঁকি দিবো। চকলেটের সাথে আরো কিছু দিবো। শুধু একটাবার একটাবার দেখা করতে চাই।
হোক না সে দেখা প্রথম এবং শেষ দেখা। তবুও দেখতে চাই, যে না দেখেও কেন এত ভালবাসলাম। আমি তোমাকে আর তুমি আমাকে। আচ্ছা, তুমি দেখতে কেমন? দেখা হলে তোমাকে চিনবো কেমন করে? জানো! খুব জানতে ইচ্ছে করে।
কথা বললে তোমাকে কেমন দেখায়, হাসলে তোমাকে কেমন দেখায়, রাগ করলে তোমাকে কেমন দেখায়। আর কষ্ট! সেটা তো তোমাকে নাকি স্পর্শই করতে পারেনা। আচ্ছা, এত সুখ পাও কোথায় বলত?
আমাকে তো কিছু দান করতে পারো। জানো, তোমার চিঠি পাওয়ার পর খামটা হাতে নিয়ে ভাবছিলাম, এটা কি চিঠি? খামটা এত মোটা কেন? যাই হোক, চিঠিটা খুলতেই ভড়কে গিয়েছিলাম। ১০০ পৃষ্ঠার একটা চিঠি।
এটাকে চিঠি না বলে দলিল বলা উচিত। প্রতি পৃষ্ঠা, প্রতি পাতা জুড়ে ‘ভালোবাসি’ কথাটা লেখা। বুঝতে পারলাম এইটা আমার নামে লেখা তোমার ভালোবাসার দলিল। কিন্তু এইটা কোন কথা? শুধুই ভালোবাসি?
আর কোন কথা নাই? জানো, আজকাল আমার নাকি একটা মুদ্রা দোষ হয়েছে। সেটা হল কথায় কথায় বলি, ‘এইটা কোন কথা?’ সেদিন পিসি রেগে বলেছিলো এই কথা ওর সামনে বললে কষে একটা চড় দিবে।
আমি তো ওর কথা শুনেই অবাক হয়ে বললাম, ‘এইটা কোন কথা?’ আচ্ছা তুমিই বল, ‘এইটা কোন কথা?’ আচ্ছা চিঠিটা শেষ করা দরকার। যে কোন সময় পিসি চলে আসতে পারে। কিন্তু ভাবছি চিঠিটা শেষ করবো কি করে?
স্কুল জীবনে বাংলা ক্লাসে চিঠি লিখতে দিলে কয়েক পৃষ্ঠা জুড়ে চিঠি লিখতাম। ক্লাসের শেষ ঘণ্টা পড়ে যেত তারপরও চিঠি লেখা শেষ হত না। আর তোমার কাছে লিখতে গেলে তো সারা জীবনেও চিঠি লেখা শেষ হবেনা।
কিন্তু, পিসি দেখলে আস্ত রাখবেনা। তাই ঠিক করেছি আর কথা বাড়াবো না। তবে চিঠির উত্তর দিও, অপেক্ষায় থাকবো। এইবার তোমার মনে দলিলটা চাই। ভালো থেকো। অনেক ভালবাসা রইল।
ইতি,
তোমার প্রিয়তমা।