WhatsApp Channel
Follow Now
Telegram Group
Follow Now
Last updated on August 18th, 2023 at 04:02 pm
Jokes in bengali with picture অথবা Bengali funny jokes অর্থাৎ রঙ্গ-রসিকতার প্রচলন শুধু আজকে নয়, jokes in bengali funny এই রঙ্গ-রসিকতার প্রচলন যুগযুগান্তর থেকে চলে আসছে। আমরা যদি অতীতের দিকে ফিরে তাকাই, তাহলে দেখতে পাব এই রঙ্গ -রসিকতা বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পরিবেশিত হয়েছে। এই রসিকতার আড়ালে কত জনের গভীর সুখ দুঃখ ও বেদনার অন্তর্নিহিত অর্থ লুকিয়ে আছে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশগুলিতে এই রসিকতার প্রচলন আমরা দেখতে পাই। অবশ্য নানা দেশে এর প্রকাশ ভঙ্গিও নানান রকম। আমাদের দেশে গােপাল ভাঁড়, বীরবল প্রভৃতির রঙ্গ-রসিকতা সর্বজন বিদিত।
বর্তমানে সম্যসায় জজ্জ্জরীত মানুষ যেখানেই একটু হাসির খােরাকের সন্ধান পান, সেখানেই ছুটে যান তার বিষাদময় জীবনে সামান্যতম হাসির ধারা বইয়ে দেবার জন্য। এই কথা মাথায় রেখে ছােট বড় সকলের জন্য সেরা Bangla Funny Jokes লেখার চেষ্টা করেছি। ভাল মন্দের বিচারের দায়িত্ব ছেড়ে দিলাম আমার সুহৃদ পাঠক ও পাঠিকাদের ওপর। তাদের জীবনে সামান্যতম আনন্দ দিতে পারিলে, তবেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে। Jokes গুলো পড়িয়া কেমন লাগিল অবশেষে কমেন্ট করিয়া জানাইতে ভুলিবেন না আরও Bangla Jokes Photo পাওয়ার জন্য আমাদের ব্লগ টিকে সাবস্ক্রাইব করতে পারেন।
Funny jokes in Bengali with picture – বাংলা মজার জোকস |
বন্ধুর বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গিয়েছে গােপাল।
গােপাল (বন্ধুকে)—–শুনলাম তােমার বাবার চোখে নাকি বল্লমের খোঁচা লেগেছিল। তাতেই তিনি মারা গেছেন!
বন্ধু-না ভাই ঠিক চোখে নয়, চোখের সামান্য দূরে লেগেছিল।।
গােপাল (আশ্বস্ত হয়ে)—যাক তবু ভাল। চোখটাতাে বেঁচে গেছে। চোখ হারানাে মানেই সব হারানাে।
দুই অভিনেতা লন্ডন শহরে বসে পরস্পরকে বােঝাতে চেষ্টা করেছেন যে, একে অন্যের চেয়ে বড় অভিনেতা।
প্রথম অভিনেতা: আমার অভিনয়ক্ষমতা সম্পর্কে কী আর বলব! গত সপ্তাহে ‘হ্যামলেট’ অভিনয় করছিলাম। শেষ দৃশ্যে হ্যামলেট-এর মৃত্যু দেখে দর্শকেরা হাউহাউ করে কাঁদছিলেন, এক মহিলা তাে পাগলের মতাে হয়ে গিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় অভিনেতা: এ আর এমন কী! আমি তার আগের সপ্তাহে হ্যামলেট অভিনয় করছিলাম অন্য এক মঞ্চে। আর জীবনবীমার এজেন্টকে সেদিন নেমন্তন্ন করেছিলাম অভিনয় দেখতে আসার জন্য। শেষ দৃশ্যে হ্যামলেটের মৃত্যু দেখে তিনি সােজা আমার বাড়িতে গিয়ে জীবনবীমার সমস্ত টাকা আমার
স্ত্রীকে গুণে দিয়ে এসেছেন।
ইংল্যান্ডের লোকেদের মতে স্কটল্যান্ডের যে-কোনও লােকই অল্পবিস্তর কৃপণ হয়। এই বিষয়ে মজার-মজার বহু jokes সারা ইংল্যান্ডে প্রচলিত আছে।
তার মধ্যে একটি:
এক ভদ্রলােক কবরখানায় গেছেন তার স্ত্রীকে নিয়ে। ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে দেখলেন একটি কবরের স্মৃতিফলকে লেখা রয়েছে । এখানে শুয়ে আছেন এক নিষ্ঠাবান শিক্ষক, এক স্নেহশীল পিতা এবং কল্পনাপ্রবণ লেখক।
ভদ্রলােক তার স্ত্রীকে বললেন, “নির্ঘাত স্কটল্যান্ডের লােক, এরা খরচ। বাচাতে পরিবারের তিনজনকে একই কফিনে ঢুকিয়ে দিয়েছে।”
jokes in bengali images
শিক্ষকমশাই : আচ্ছা স্যাম, বলাে তাে ওয়াশিংটন কী জন্য বিখ্যাত ছিলেন?
ছাত্র : স্মৃতির জন্য।
শিক্ষকমশাই : এই তথ্যটা কোথা থেকে পেলে?
ছাত্র : আমি স্বচক্ষে দেখেছি স্যার, একটা বিরাট মনুমেন্ট বানানাে হয়েছে, তার নীচে লেখা আছে ওয়াশিংটনের স্মৃতির জন্য নিবেদিত।
নিউ ইয়র্কের একটি সসেজের দোকান বড়-বড় করে বিজ্ঞাপন দিয়েছে, আমরাই আমেরিকার প্রেসিডেন্টের জন্য সসেজ বানাই। তার তলায় চক দিয়ে লেখা ও ঈশ্বর প্রেসিডেন্টকে রক্ষা করুন!’—জনৈক ক্রেতা।
এক ভদ্রলােক মন দিয়ে কী যেন লিখছিলেন। এমন সময় তার ছেলে হােমওয়ার্কের খাতা নিয়ে এসে প্রশ্ন করল, “বাবা, আল্পস পর্বতমালা কোথায় ?” ভদ্রলােক বললেন, “তােমার মাকে জিজ্ঞেস করাে। উনি তাে সব জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখেন।”
এক স্পেশালিস্ট ডাক্তারের কাছে যােগাযােগ করে এক রােগী তিন সপ্তাহ পরে ডাক্তারের ‘ডেট’ পেলেন। তখন রােগী বললেন, “তিন সপ্তাহের মধ্যে। আমি তাে মরেও যেতে পারি।”
ডাক্তারের সেক্রেটারি বললেন, “তাতে কী হয়েছে। ডেট সবসময়ই ক্যান্সেল করা যায়।”
গ্যারাজে গাড়ি নিতে গিয়ে ডাক্তার বিশাল অঙ্কের বিল দেখে বললেন, “কয়েক ঘণ্টা কাজের জন্য এত টাকা! আমরাও তাে এত ফি নিই না!” গ্যারেজের মেকানিক জবাব দিল, “আরে মশায়, আপনারা তাে একই মডেলে কাজ করে চলেছেন। আর আমাদের বছর বছর নতুন মডেল বেরােচ্ছে।”
এক বিদেশি ভদ্রলােক জাপানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। একজন জাপানি ডাক্তারবাবুকে গিয়ে দেখালেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে একটি ওষুধ জলে গুলে খেতে দিলেন। বিদেশি ভদ্রলোেক ওষুধ খেয়েই বললেন, “বাবা, খুব কড়া ওষুধ তাে। খেয়েই দেখি, মনে হচ্ছে টলছি, ঘরের আসবাবপত্রগুলােও চোখের সামনে দুলছে।” ডাক্তারবাবু বললেন, “না, না ওষুধের জন্য নয়, ভূমিকম্প হচ্ছে যে!”
জন: (হাঁপাতে হাঁপাতে বাড়ি এসে) মা, আমি আজ একটা খুব
ভাল কাজ করেছি। আমি আর আমার দুই বন্ধু একজন বয়স্ক ভদ্রমহিলাকে ধরে ধরে রাস্তা পার করিয়ে দিয়েছি।
মা: বাঃ, খুব ভাল কিন্তু তিনজন মিলে একজনকে ধরতে গেলে কেন?
জন : আসলে উনি একদমই রাস্তাটা পার হতে চাইছিলেন না তাে, তাই!
আরও পড়ুনঃ গল্পঃ পত্নীহারা
ম্যাক্স একই রাস্তা দিয়ে গত পনেরাে মিনিটে দশবার দৌড়ােচ্ছে। তাকে দেখে একজন পুলিশ অফিসার প্রশ্ন করলেন, “তুমি কোথাও যেতে চাও?”
ম্যাক্স : হ্যা, আমি বাড়ি থেকে পালাচ্ছি।
পুলিশ : কিন্তু তুমি একই রাস্তা দিয়ে দশবার গেছ, তা জাননা?
ম্যাক্স : জানি। কী করব, মা আমাকে রাস্তা পেরােতে মানা করেছেন যে।
Latest bengali jokes for whatsapp
ছােটকাকা : লুই, তােমার ভাই কথা বলতে পারছে? লুই: কেন ? ওর কথা বলার দরকার কী? ও তাে খুব জোরে চেঁচালেই সবকিছু পেয়ে যায়।
মিশরের একটি পুরনাে জিনিসের দোকানে এক পর্যটক ঢুকলেন। দোকানদার এগিয়ে এসে তাকে নানা জিনিস দেখাতে লাগল। সামনের একটি শাে-কেসে একটি নরকরােটি দেখতে পেয়ে পর্যটক জিজ্ঞেস করলেন, “এই করােটি
কার ?” “এটি মহারানি ক্লিওপেট্রার,” সবিনয়ে জানাল দোকানদার। কিছুক্ষণ বাদে ঘুরতে ঘুরতে আর-একটি খুলি চোখে পড়ল পর্যটকের। আগেরটির চেয়ে এই করােটি আকারে সামান্য ছােট। পর্যটক জিজ্ঞেস করলেন, “এই করােটি কার ?”দোকানদার বলল, “এটাও মহারানি ক্লিওপেট্রার হুজুর, তবে এটা তার ছােটবেলাকার করােটি।”
শহরে সাংঘাতিক মড়ক লেগেছে। ডাক্তারবাবু তাঁর বাড়ির পেছনের ঘরে একটা হাসপাতাল খুলে ফেলেছেন। কিন্তু রােজই রােগীর সংখ্যা বাড়ছে।
পেছনের ঘরটিতে আর কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। একদিন সকালবেলা দেখা গেল ডাক্তারবাবুর বাড়ির সামনে বেশ কয়েকজন গ্রামের মানুষের ভিড়। নিরুপায় ডাক্তারবাবু তার সহকারীকে বললেন, “তুমি এদের নিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে যাও। এদের প্রত্যেককে ডাইনিং রুমে ইনজেকশন দিয়ে
দাও।” শুনে চারপাশে একটা শােরগােল উঠল। এক ভদ্রলােক বলে উঠলেন, “আমি প্রতিবাদ করছি। আমাদের হাতে ছাড়া অন্য কোথাও ইনজেকশন। দেওয়া হলে আমরা ভীষণ আপত্তি করব।”
মিচেল: (উঁচু ক্লাসের ছেলেটিকে) তুমি যা বললে তার জন্য ক্ষমা চাও। আমি তােমাকে মাত্র পাঁচ মিনিট সময় দিচ্ছি।
অন্য ছেলেটি: ইস্! পাঁচ মিনিট! ক্ষমা না চাইলে কী করবি তুই?
মিচেল: ওই পাঁচ মিনিট হিসাবে সময় দিয়ে যাব।
আরও পড়ুনঃ Bengali Funny Jokes
রিকি: ধর তােকে কিছু টাকাপয়সা এবং কিছু বুদ্ধি দেওয়া হল। বলা হল, যে-কোনও একটা বেছে নে। তুই কোনটা নিবি?
অঁরি: খুবই সহজ উত্তর, আমি টাকাপয়সা নেব।
রিকি: ছি, ছি! তাের মতিগতি মােটেই সুবিধের নয়। আমি হলে অবশ্যই বুদ্ধি নিতাম।
আঁরি: হ্যা, যার যেটার অভাব, সে সেটাই নেয়।
Best bangla jokes of all time
এক আইরিশ ভদ্রলােক আয়নার সামনে চোখ বুজে দাঁড়িয়ে থাকতেন।
তিনি দেখতে চাইতেন ঘুমােলে তাকে কেমন দেখায়।
ডাক্তারবাবু: আপনি বলছেন আপনি সারারাত ধরে প্রতিদিন ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখেন?
রােগী : আজ্ঞে হ্যা।
ডাক্তারবাবু : কতদিন ধরে এটা চলেছে?
রােগী : প্রায় এক বছর।।
ডাক্তারবাবু : হুঁ, কিন্তু আপনার অন্য কোনও স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে না?
ধরুন খাবারদাবার বা বেড়াতে যাওয়া…..?
রােগী : ওইসব করতে গিয়ে আমি আমার ব্যাটিংটা মিস করি আর কী!
একটি মেয়ে তার ভাইকে বােঝাচ্ছে যে, রাববার কাজ করা কত ভাল। মেয়েটি বলল, “রবিবার যারা কাজ করে তারা সােজা স্বর্গে যায়।
ভাই: রবিবার তাে দেখি শুধু পুলিশেরাই কাজ করে। ওরা স্বর্গে যায় ?
দিদি: না, ওরা যায় না। স্বর্গে পুলিশের দরকার নেই।
প্রথম ছাত্র : তাের কুকুরের নাম কী ?
দ্বিতীয় ছাত্র : আমার কুকুর খুবই মুডি। এখনও অবধি নাম বলতে রাজি হচ্ছে না।
একটি ব্রিজের ওপর দিয়ে দুই গুলবাজ যাচ্ছে। ব্রিজের নীচ দিয়ে খরস্রোতা নদী বয়ে যাচ্ছে।
প্রথম গুলবাজ : দশ বছর আগে এই ব্রিজের ওপর থেকে আমার হাতঘড়িটা নীচে পড়ে গিয়েছিল। গত সপ্তাহে আমি সেটা নদীর পাড়ে খুঁজে পাই। তখনও ঘড়িটা টিকটিক করে চলছে, কিছু হয়নি।
দ্বিতীয় গুলবাজ : কী আশ্চর্য আমার জীবনে প্রায় একই অভিজ্ঞতার স্বাদ পেয়েছি। দশ বছর আগে এই ব্রিজ থেকে আমার ভাই পড়ে গিয়েছিল জলে। গত সপ্তাহে দেখি নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ভাই হাসছে। একদম আগের মতন। কিছু হয়নি।
প্রথম গুলবাজ : দ্যাখ, গুল দিস না। দশ বছর জলের তলায় তাের ভাই করছিলটা কী?
দ্বিতীয় গুলবাজ : কেন? তাের ঘড়িতে দম দিচ্ছিল।
বাবা : মিন্নি কাদছে কেন?
মা : একটু আগেই বাগানে একটা গর্ত খুঁড়েছে। এখন ও সেটাকে বাড়িতে আনতে চায়।
পল মাছ ধরবার জন্য সারাদিন অফিস কামাই করেছে। কিন্তু মাছ পায়নি একটাও। সন্ধেবেলায় সে একটা মাছের দোকানে ঢুকে দোকানদারকে বলল, “আপনাদের সবচেয়ে বড় দুটো কাতলা মাছ আমার দিকে ছুঁড়ে দিন তাে!”
দোকানদার: ছুঁড়ে দেব কেন? আমরা সুন্দর করে প্যাক করে দিই।
পল: না, ছুঁড়েই দিন। আমি আমার স্ত্রীকে মিথ্যে বলি না। বাড়ি গিয়ে সত্যি-সত্যি বলতে পারব যে, আমি দুটো মাছ ধরেছি।
Very funny jokes in bengali
মা-সিংহ : অ্যাই, কী করছিস?
বাচ্চা-সিংহ : একটা শিকারীকে গাছের চারপাশে তাড়া করছি।
মা-সিংহ : কতদিন বলেছি, খাবার নিয়ে খেলা করবে না?
আরও পড়ুনঃ গল্পঃ সতী
টিভিতে একটা সিনেমা দেখানাে হচ্ছে। দুই বন্ধু বসে আছে টিভির সামনে।
প্রথম বন্ধু : দশ ডলার বাজি রাখবি। ওই ঘােড়াটা দৌড়তে-দৌড়তে একটা গর্তে পড়ে যাবে।
দ্বিতীয় বন্ধু : পড়বে না। দশ ডলার ঐ বাজি।
কিছুক্ষণ বাদে ঘােড়াটা গর্তে পড়ে গেল।
প্রথম বন্ধু : বলেছিলাম না! বার কর দশ ডলার! (পয়সাটা নিয়ে) এবার একটা কথা বলি। আমি জানতাম ঘােড়াটা পড়বেই, কারণ এই ছবিটা আমি আগেও দেখেছি।
দ্বিতীয় বন্ধু : আরে, আমিও তাে আগে দেখেছি। তবে কিনা, জানতাম না ওই ঘােড়াটা এত বােকা। একই গর্তে দু’বার পড়ে গেল! বুদ্ধিশুদ্ধি কিছু নেই।
ক্রেতা : ওই যে দুর্দান্ত ভেড়ার লোমের কোটটা টাঙানাে রয়েছে শাে- কেসে, ওটা কি বৃষ্টিতে পরে বের হলে খারাপ হয়ে যাবে?
বিক্রেতা : আপনার কি মনে হয়, ভেড়ারা ছাতা ব্যবহার করে।
এক ভদ্রলােক কুট্টির গাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। তিনি সেই কুট্টিকে গাড়ি নিয়ে তার দোতলা বাড়ির সামনে অপেক্ষা করতে বললেন। গটমট করে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে যাওয়ার আগে বললেন, “একটু দাঁড়াও ভাই, আমি ভিতর থেকে আসছি।”
সেই কুটি অপেক্ষা করতে লাগলেন। ভদ্রলােক আর আসেন না। কুটি ভাবলেন, “ইস, আজ আর কোনও ভাড়া খাটা যাবে না।” হঠাৎ ধুপ করে একটা শব্দ হতেই কুটি দেখলেন, ভদ্রলােক সিঁড়ি দিয়ে নীচে গড়িয়ে পড়ছেন। একেবারে নীচে গড়িয়ে আসার পর কুট্টি তাকে বললেন, “একটু লাগছে কর্তা, কিন্তু আসছেন তাড়াতাড়ি।”
এক পাগলের অভ্যেস শুধু বই পড়া। লাইব্রেরির পর লাইব্রেরি শেষ করেও সে খুশি নয়। রােজ সকালে নতুন বই না পড়লে সে মারাত্মক পাগলামি শুরু করে। নিরুপায় হয়ে ডাক্তারবাবু তাকে একদিন সকালে টেলিফোন ডাইরেক্টরি পড়তে দিলেন। সাতদিন পরে লােকটি এল। এতদিন খুব মন দিয়ে সে মােটা বইটি পড়েছে। কোনও পাগলামি করেননি। ডাক্তারবাবু জিজ্ঞেস করলেন, “ কেমন লাগল বইটি ?”
লােকটি বলল, “ভালই। তবে ফ্যাক্ট নেই, শুধু ক্যারেক্টার।”
কাকার বড় ভুলাে মন। কিছুই মনে রাখতে পারেন না। একদিন বুনি দেখল।
কাকা বারবার সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠছেন আবার একতলায় নেমে আসছেন।
বুনি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, “কী হয়েছে তােমার ?
কাকা বললেন, “আরে, কিছুতেই মনে করতে পারছি না, বাইরে থেকে ঘরে আসছিলাম না বাড়ি থেকে বাইরে যাচ্ছিলাম।”
Best bengali jokes
ঢাকার এক ধনী ভদ্রলােক কালাে লং কোট বা প্রিন্স কোট তৈরি করতে গেছেন দর্জির দোকানে। সেই ভদ্রলােকের রং মিশকালাে, তার ওপর তিনি হাড়কিপটে। নানা ধরণের কাপড় তিনি দেখলেন, কিন্তু কোনওটাই আর তার পছন্দ হয় না। তার সঙ্গে ছিলেন এক কুট্টি। ভদ্রলােকের কোনও কাপড়
পছন্দ হচ্ছে না দেখে সেই কুট্টি তাকে পরামর্শ দিলেন, “কর্তা, আপনি কালাে কোটের জন্য খামােকা পয়সা খরচ করতে যাবেন কেন ? খালি গায়ে বুকের ওপর ছটা বােতাম, আর দু’হাতে কব্জির কাছে তিনটে করে ছ’টা বােতাম
লাগিয়ে নিন। খাসা প্রিন্স কোট হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুনঃ Jokes In Bengali 2020
একদিন আমি আর এক বন্ধু এক চীনামাটির বাসনের দোকানে গেলাম। বাসন পত্র দেখতে দেখতে একটা ছােট চীনামাটির কাপ আমাদের পছন্দ হয়ে গেল। কাপটা দেখিয়ে দোকানদারকে বললাম এই কাপটার দাম কতাে হবে?
দোকানদার বলল, খুব বেশী নয়, মাত্র তিরিশ টাকা।
তিরিশ টাকা। আমরা বিস্ময় প্রকাশ করলাম।
দোকানদার লােকটা একটু রসিক প্রকৃতির। আমাদের বিস্মিত হতে দেখে বললেন, দাদা আপনারা কি ভেবেছেন তিরিশ টাকায় আপনারা একটা রিলায়েন্স কাপ কিনে বাড়ি নিয়ে যাবেন।
(সমাপ্ত)