Last updated on August 18th, 2023 at 03:52 pm
Jokes in bengali
করিম চাচা: হ্যালো, এটা কি থানা!
পুলিশ: হ্যা!
করিম চাচা: আমার বাড়িতে কালকে চুরি হইছে!
পুলিশ: How? (কি ভাবে) (করিম চাচা ভাব দেখিয়ে ইংরেজিতে বললো)
করিম চাচা: কাটিং দা বাঁশের বেড়া! ঢুকিং দা চোর! লইং দা জিনিস পত্র! গোয়িং ইন দা ডোর!
পুলিশ: What is বাঁশের বেড়া!
করিম চাচা: বাঁশের বেড়া ইজ দা খাড়া খাড়া!
তার মধ্যে পেরেক মারা!
টুকাই: বাবা, তােমার মাথার চুলগুলাে এরকম সাদা হয়ে গেল কেন?
বাবা : তুমি প্রতিদিন আমার পকেট ফাকা করো, পড়াশােনা করো না তাই আমার মাথার চুল সাদা হয়ে যাচ্ছে।
টুকাই (বিজ্ঞের মতাে) : হুঁ, এবার আমি বুঝেছি……।
বাবা : কী বুঝেছ?
টুকাই: দাদুর চুলগুলাে সাদা হল কেন!
পাপু: বিকু, বিকু, আমরা কাল একটা অ্যালশেসিয়ান কুকুর কিনেছি, তুই যদি কুকুরটার সঙ্গে খেলতে চাস, এক্ষুনি আমাদের বাড়িতে চল।
বিকু: হ্যা, কাল থেকেই আমি ওর গলার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। হ্যা রে, কুকুরটা কি কামড়ায়?
পাপু: সেটা বুঝবার জন্যই তাে তােকে নিয়ে যেতে এসেছি।
ডাক্তারবাবু: আপনি যে নিজেকে শাজাহান ভাবতেন, সেই পাগলামিটা দীর্ঘ একবছরের চিকিৎসায় সেরেছে।
ভদ্রলােক : তাই নাকি? বেশ, বেশ। টেলিফোনটা একবার এদিকে দিন
ডাক্তারবাবু : কাউকে ফোন করবেন?
ভদ্রলােক : হ্যা, মমতাজকে সুখবরাটা দিই।
সিনিয়ার ডাক্তার: ধরাে, এক রােগীকে আনা হল তােমার কাছে, যিনি বিষ খেয়েছেন। তুমি কী করবে?
জুনিয়ার ডাক্তার: খুব সহজ কেস। ওর খাদ্যতালিকা বদলে দেব।
পুলিশ: তা হলে আপনি বলছেন, ডাকাতেরা আপনার হাজার-হাজার টাকা, দামি জিনিসপত্র, সােনাদানা নিয়ে একটা কালাে গাড়িতে করে চলে গেল।
গজেনবাবু : হ্যা স্যার।
পুলিশ: কিন্তু আপনার বাড়িতে বন্দুক ছিল না?
গজেনবাবু: থাকবে না কেন, ছিলই তাে। আমি ওইসময় সেটাই শুধু লুকিয়ে ফেলতে পেরেছিলাম।
খদ্দের ইস্: এটা কি চা নাকি!
বেয়ারা: কেন বলুন তাে?
খদ্দের: কেরােসিনের গন্ধ বেরােচ্ছে যে?
বেয়ারা: তা হলে তাে ঠিকই আছে। এটাই চা, কারণ আমাদের কফিতে তো পেট্রোলের গন্ধ বেরােয়।
যানবাহনে ছয়লাপ একটা চৌরাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশের কাছে জানতে চাইলেন, “সরকারি হাসপাতালে যাব কী করে?
ব্যস্ত ট্রাফিক পুলিশ উত্তর দিল, “যেখানে আছেন, সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকুন। ঠিক পৌছে যাবেন।
পরীক্ষার রিপাের্ট দেখে মা তাে আগুন।
সন্তুকে জিজ্ঞেস করলেন, “অঙ্কে একেবারে শূন্য পেলে!
সন্তু : শূন্য কী বলছ? স্টার মার্ক দেওয়ার মতাে স্টার আর ছিল না বলে আস্ত একটা চাদই দিয়ে দিয়েছেন স্যার।
শিক্ষক : কপাল দিয়ে একটি কবিতার পংক্তি রচনা কর!
টুকাই : কপাল ভাসিয়া যায় নয়নের জলে।
শিক্ষক : তুমি একটি গাধা, চোখের জল কখনও উপর দিয়ে যায় ?
টুকাই : স্যার পরের লাইনটা আগে শুনুন, ঠ্যাং দুটি বাঁধা ছিল গাছের এক ডালে।
ভদ্রলােক : তােমার বয়স কত?
রিন্টু : দশ।
ভদ্রলােক : সে তাে দু’বছর ধরেই শুনছি।
রিন্টু : ঠিকই শুনছেন। আমি অন্যদের মতাে আজ একরকম, কাল একরকম কথা বলি না।
ডাক্তারবাবু : আপনার দেওয়া চেকটা ব্যাঙ্ক থেকে ফেরত এসেছে।
রােগী : চিন্তা করবেন না। আমার জ্বরও ফিরে এসেছে।
Bangla jokes
মাত্র দু’টাকায় দাঁত তােলা হয় ডাক্তারখানার বাইরে এই লেখা দেখে ভোম্বলবাবু নিজের দাঁত তােলাতে নাম লেখালেন। অনেক ভিড় হয় এই ডাক্তারখানায়। কিন্তু মাত্র একটা দাঁত তােলার পর ডাক্তারবাবু ভোম্বলবাবুকে চল্লিশ টাকার বিল হাতে ধরিয়ে দিলেন। ভোম্বলবাবু খেপে উঠলেন, “সে কী, চল্লিশ টাকা কেন?”
ডাক্তারবাবু ধীর গলায় বললেন, “দাঁত তুলতে যা চেঁচালেন তাতে আমার বাইরে বসে থাকা উনিশজন রােগী পালিয়ে গেছে তাই সেটাও ধরে দিলাম।”
একজন ডাক্তারবাবুর কাছে ছুটতে-ছুটতে সকালবেলা এলেন এক ভদ্রলােক। হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন, “সর্বনাশ হয়ে গেছে ডাক্তারবাবু, সকালে সঙ্গীতচর্চা করতে বসেছিলাম, মাউথ অর্গানটা বাজাতে-বাজাতে গিলে ফেলেছি।”
ডাক্তারবাবু : তাই নাকি! হতাশ হবেন না, সব কিছুরই একটা ভাল দিক আছে, ভাবুন তাে, ওটা যদি পিয়ানাে হত!
ক্রেতা: আপনাদের দোকানে ভাল ইদুর-ধরার কল আছে? বেশ বড় সাইজের ?
দোকানদার : আজ্ঞে হ্যা।
ক্রেতা: দেখান না তাড়াতাড়ি, আমায় এক্ষুনি বর্ধমান যাওয়ার বাসটা ধরতে হবে।
দোকানদার : উঁহু, অতবড় কল কোথায় পাব বলুন?
এক ভদ্রলােক কুকুর নিয়ে রেস্টুরেন্ট গেছেন। কুকুরটা একফাকে পাশের টেবিলে উঠে প্লেট থেকে মুরগির ঠ্যাং মুখে নিয়ে দরজা দিয়ে এক দৌড়ে হাওয়া হয়ে গেল। ভদ্রলােক দেখলেন, তারপর শান্তভাবে খেতে লাগলেন। দোকানের মালিক তাড়াতাড়ি গম্ভীর মুখে এগিয়ে এলেন, “কুকুরটা তাে আপনার ?” ভদ্রালােক বললেন, “একসময় আমার ছিল। এখন স্বাবলম্বী হয়ে গেছে।”
একজন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অপরাধীকে ফায়ারিং স্কোয়াডের দিকে নিয়ে যাচ্ছে রক্ষীবাহিনী। সেদিন একঘেয়ে বৃষ্টি, শনশনে হাওয়া, ফলে চারদিকে চপেচে কাদা। মরার পক্ষে এত খারাপ দিন আজ” বলল অপরাধ।
রক্ষীবাহিনীর প্রধান: কিন্তু, আপনি আমাদের কষ্টটা দেখছেন না। আমাদের আবার এর মধ্যে দিয়ে ফিরতে হবে।
খােকন: বাচ্চু, তােমার নতুন সােয়েটারের কাটিং একটু অদ্ভুত।
বাচ্চু: কেন বলাে তাে?
খােকন: আমি ঠিক বুঝতে পারছি না তুমি ওটার ভেতরে আছ এবং বেরিয়ে আসতে চাইছ, নাকি তুমি বাইরে আছ, ওটার ভেতরে ঢুকতে চাইছ?
ভাড়াটে: ঘরের ছাদ পুরাে ভাঙা, সারাক্ষণ বৃষ্টি পড়ছে মাথায়।
এরকমভাবে কতদিন চলবে?
বাড়িওয়ালা : কী করে বলি বলুন তাে, আমি তো আবহাওয়া-বিশারদ নই!
বিখ্যাত কবি: আমি বহুদিন ধরে লিখছি বটে, কিন্তু আমার শ্রেষ্ঠ
কবিতাগুলি প্রথম থেকেই আলাদা করে রেখে দিয়েছি। আমার মৃত্যুর পর ওগুলি বই হয়ে বেরােবে।
ভক্ত : বাঃ বাঃ, আমি চাই খুব তাড়াতাড়ি বইটি প্রকাশিত হােক।
আরও পড়ুনঃ Bangla Jokes
এক ভদ্রলোেক গাড়ি করে পাশের শহরের দিকে যাচ্ছেন। হঠাৎ দেখলেন উর্ধ্বশ্বাসে কিছু লােক তার পাশ দিয়ে দৌড়ে গেল “ওদিকে যাবেন না, ওদিকে যাবেন না”, বলতে-বলতে। ভদ্রলােক একটু ভ্যাবাচাকা খেয়ে গেলেন। গাড়ি থামিয়ে রাস্তায় নেমে দেখলেন, একটি লােক দৌড়ে আসছে।
ভদ্রলােক: কী হয়েছে দাদা?।
সেই লোেকটি (হাঁপাতে হাঁপাতে) কাল রাত্রে সার্কাসের একটা সিংহ খাঁচা থেকে পালিয়েছে।
ভদ্রলােক : এইদিকে এসেছে নাকি?
সেই লােকটি (দৌড়তে-দৌড়তে) ও আমাকে দেখে কি মনে হচ্ছে, আমি সিংহটাকে তাড়া করছি?
দুই বধিরের কথােপকথন :
প্রথম ব্যক্তি: বাজারে যাচ্ছেন?
দ্বিতীয় ব্যক্তি: না, বাজারে যাচ্ছি।
প্রথম ব্যক্তি: ও, আমি ভাবলাম বুঝি বাজারে যাচ্ছেন।
দ্বিতীয় ব্যক্তি: কী যে বলেন, না, না, বাজারে যাচ্ছি।
বইয়ের দোকানের সামনে গিয়ে একটি ছােট্ট ছেলে তার দাদাকে জিজ্ঞেস করল, “দাদা, এটা কিসের দোকান?”
দাদা: বইয়ের।
ভাই: বই কী?
দাদা: আমরা যে সিনেমা দেখি, সেগুলাে তৈরি করার জন্য বই লাগে।
Bangla funny jokes
সন্ধেবেলা গ্রামের খাবারের দোকানে ঢুকলেন একজন শহরের বাবু।
বাবু: আচ্ছা, আপনারা বুনাে হাঁসের মাংস দিতে পারেন?
দোকান মালিক: না, তবে সাধারণ হাঁসকে আপনার জন্য খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে এমন খেপিয়ে তুলতে পারি যে বুনাে হয়ে উঠবে। তাতে চলবে?
স্কুল থেকে টুকুন ফিরে এল। মুখ গম্ভীর। মার কাছে গিয়ে বলল, আমার মনে হয় আদিম যুগেই আমার জন্মানাে ভাল ছিল।।
টুকুনের মা: কেন?
টুকুন তা হলে এত ইতিহাস পড়তে হত না।
পেটুক ভদ্রলােক: চলে আসুন কালই আমার বাড়ি। বিকেলের দিকে।
ওই মােড় পেরােলে তিনটে বাড়ি পরে। সিঁড়ি দিয়ে উঠেই আমার দরজা।
তারপর কনুই দিয়ে বেল বাজাবেন। আমি বাড়িতেই থাকব।
বন্ধু: ঠিক আছে, কিন্তু কনুই দিয়ে বেল বাজাব কেন?
পেটুক ভদ্রলােক : বাঃ, প্রথম দিন আসছেন। আপনার দু হাতে দুটো খাবারের প্যাকেট থাকবে নিশ্চয়ই।
রােগী: ডাক্তারবাবু, গতবার যখন এসেছিলাম আপনি বলেছিলেন সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা একদম বারণ। আমি আপনার কথা অক্ষরে-অক্ষরে পালন করেছি। এখন কেমন দেখলেন?
ডাক্তার : হুঁ, বেশ উন্নতি হয়েছে স্বাস্থ্যের। এখন আপনি আবার সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে পারেন।
রােগী: বাঁচালেন! পাইপ বেয়ে-বেয়ে রােজ তিনতলায় ওঠানামা করে গায়ে যা ব্যথা হয়েছে!
বুবাই: আমার মানিব্যাগটা কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। জামার বুকপকেটটা ছাড়া সব জায়গা তন্নতন্ন করে খুঁজেছি। নাঃ, নেই।
মন্টু : কেন, বুকপকেটটা বাদ রেখেছ কেন?
বুবাই: ভয়ে বাদ রেখেছি। যদি ওখানে না থাকে, শেষ আশাটা নষ্ট হয়ে যাবে।
লাইব্রেরিয়ান : আপনি রােজ আসেন, একটি গােয়েন্দা গল্পের বই নেন, আর সেটা মাঝখান থেকে পড়তে শুরু করেন? কেন বলুন তাে?
পাঠক:শেষের সঙ্গে শুরুটাও না জানলে, রহস্য আরও ঘনীভূত হয়।
একটি পাগল সমুদ্রের তীরে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ সমুদ্রে স্নান করতে করতে এক ভদ্রলােক চিৎকার করে তাকে বললেন, “আমাকে বাঁচান, আমি সাঁতার জানি না। আমি সাঁতার জানি না” পাগলটি মনে-মনে বলল, ‘দ্যাখাে কাণ্ড, লােকটির লজ্জা-শরম নেই। আমিও তাে পিয়ানাে বাজাতে জানি না।
তাই বলে সবাইকে ডেকে ডেকে বলতে যাই নাকি?
নার্স: আপনার নাড়িটা একটু দেখব।
বদমেজাজি রােগী: কেন, নিজের নেই? নিজেরটা দেখতে পারেন না?
এক বন্ধু: তােমার ছেলে শুনেছি বিদেশে গেছে বেশ কিছুদিন হল, অনেক টাকা রােজগার করতে?
অন্য বন্ধু : ঠিকই শুনেছ। নিশ্চয়ই কেউকেটা হয়েছে সেখানে গিয়ে, অনেক টাকা রােজগার করছে। নইলে, পুলিশ শুধুশুধু তার সম্পর্কে যে- কোনও তথ্য দিলে হাজার টাকা পুরস্কার দেবে বলেছে?
শিক্ষকমশাই: তােমার পরীক্ষার রেজাল্ট দেখে আমি হতাশ হচ্ছি। তুমি বলেছিলে না, ফার্স্ট হলে তােমাকে বাবা সাইকেল কিনে দেবেন বলেছেন।
ছাত্র : হ্যা সার।।
শিক্ষকমশাই: তা হলে আরও ভাল লেখাপড়া করতে পারতে। যাক, এখন কী করছ?
ছাত্র : আজ্ঞে, মােটর সাইকেল চালানাে শিখছি!
ছােটকাকু: ভগবানের কাছে যদি তিনটে বর চাইতে বলা হয় তবে শেষে কী বর চাইবে?
বাবাই: আরও তিনটে বর।
Jokes bangla
আমেরিকার ভার্জিনিয়া শহরের বাইরে সারি সারি তামাকের খেত। একজন তামাকচাষি সবাইকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তামাক চাষ দেখাচ্ছেন। একসময় বললেন, “এই যে দেখুন—এগুলােই সবচেয়ে বড় তামাকের গাছ।”
“কী অপূর্ব!” একজন বলে উঠলেন।
পরক্ষণেই ফিসফিস করে জানতে চাইলেন, “কিন্তু তামাকগাছে সিগারেট ফলবে কবে?”
জজ : তুমি কি সারাজীবন একা-একাই পকেট মারছ?
পকেটমার: আজ্ঞে হ্যা স্যার।
জজ : কোনওদিন কোনও অ্যাসিস্ট্যান্ট রাখােনি?
পকেটমার: আজ্ঞে না স্যার।
জজ : কেন?
পকেটমার: দিনকাল খুব খারাপ। সকলেই কিছুদিন পর অসৎ হয়ে যায়।
গ্রীষ্মের ছুটি পড়ার দিন মাধবী মালতীকে জিজ্ঞেস করল, “এবার কোথায় বেড়াতে যাচ্ছিস?”
মালতী: কোথাও না। আমরা তাে দু’বছর অন্তর বেড়াতে যাই।
মাধবী: দু’বছর অন্তর কেন ?
মালতী: প্রথম বছর গত বছরের বেড়ানাে নিয়ে আলােচনা করি। দ্বিতীয়। বছর তৃতীয় বছরের বেড়ানাের প্ল্যান করি।
আরও পড়ুনঃ গল্পঃ সতী
গ্রীষ্মকাল, চারিদিকে জলের খুবই অভাব।
একটা কচ্ছপ ধীর গতিতে নদীর দিকে এগােচ্ছিল। রাস্তায় বকের সঙ্গে দেখা। বক বলল, “শুধু-শুধু নদীর দিকে যাচ্ছ। একটুও জল নেই।”
কচ্ছপ উত্তর দিল, “জানি। আমি যখন পৌছব তার আগেই কিন্তু বর্ষা নেমে যাবে।”
শিক্ষকমশাই: সৃষ্টি শুরু হল কেমন করে? ঈশ্বর প্রথমে পৃথিবী গড়লেন, তারপর জীবজন্তু তৈরি করলেন, তারপর মানুষ তৈরি করে পৃথিবীতে পাঠালেন।।
ছাত্রঃ কিন্তু স্যার, কাল আমার বাবা বলছিলেন যে, আমাদের পূর্বপুরুষ বানরছিল।
শিক্ষকমশাই: আমরা সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে আলােচনা করছি, তো পরিবারের কথা ক্লাসে কেন?
দাদা: রাজু, তাের হাতের লেখাটা কিছুতেই আর ভাল হচ্ছে না।
রাজু: হাতের লেখা ভাল করাই যায়, কিন্তু তার ফলে যে বানান ভুলটাই বেশি করে চোখে পড়বে!
খদ্দের: আপনাদের হােটেলে কোন-কোন খাবার আছে?
ম্যানেজার : তিন ধরনের।
খদ্দের ও কী কী?
ম্যানেজার: ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার।
বােন: আমি যখন গান করছিলাম তুই কেন ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলি বল তাে। ভাল লাগছিল না?
দাদা: না, তা নয়। মা ভাবতে পারেন আমি তােকে মারছি আর তুই চিৎকার করে কাঁদছিস।
মা: তুমি ক্লাসে পেছন বেঞ্চে বসাে শুনে খুব চিন্তা হচ্ছে আমার।
ছেলে: ও নিয়ে ভেবাে না। আমাদের সকলের একই বই।
দু’জন শিকারি সিংহ-শিকারে গেছেন।
সিংহের দেখাও মিলল কিন্তু বন্দুক তােলার আগেই সিংহটা লাফ দিয়ে একেবারে ঝােপের ওদিকে।
প্রথমজন ভয়ে কাপতে কাপতে দ্বিতীয়জনকে বললেন, “ঠিক আছে। তুমি দেখো, সিংহটা কোনদিকে গেল। আর আমি দেখছি ফিরে গিয়ে, সিংহটা কোথেকে এসেছিল!
এক ফরাসি নেতা বিশাল জনসভায় বক্তৃতা দিতে দিতে আবেগভরা গলায় বললেন “আমি জন্মেছি ফ্রান্সে, মরতেও চাই ফ্রান্সে।” ভিড়ের মধ্য থেকে একটা গলা শােনা গেল, “আপনার তাে কোনও উচ্চাকাঙ্ক্ষাই নেই মশাই।
Bengali abdult jokes
বাবা : রাম শ্যাম যদু, তােমরা ঠিকমতাে মা’র কাজে সাহায্য করছ তাে?
রাম: হ্যা, আমি কাচের বাসনপত্রগুলাে ধুয়ে দিই।
শ্যাম: আমি সেগুলাে শুকনাে করে মুছি।
যদু: আর আমি ওদের ভাঙা টুকরােগুলাে কুড়িয়ে ফেলে দিই।
আমবাবু আমাকে একটা বালিশের ওয়াড় দিন তাে!
দোকানদার : সাইজ কত ?
রামবাবু: তা তাে ঠিক বলতে পারছি না, তবে মাথায় সাত নম্বরের টুপি লাগে।
ঝন্টুকে বুড়াে আঙুলে ব্যাণ্ডেজ বাঁধতে দেখে মা জিজ্ঞেস করলেন, কী হয়েছে?
ঝন্টু: হাতুড়ি পড়েছে।
মা: তােমায় তাে কঁদতে শুনিনি একবারও।
ঝন্টু ও কেঁদে কী লাভ, তুমি তাে তখন ঘরে ছিলে না!
বাবা: বুবুন, তােমার ইতিহাস পরীক্ষা কেমন হল?
বুবুন : খুব ভাল না। যা জিজ্ঞেস করেছিলেন সবই আমার জন্মের আগে ঘটে গেছে যে!
ছােটকাকা : পাপু, তােমাকে যদি দশটি আলু দিয়ে সাতজনকে সমানভাবে ভাগ করে দিতে বলা হয়, কীভাবে ভাগ করবে?
পাপু: এ আর এমন কী, আলুগুলাে সেদ্ধ করে মেখে সাত ভাগ করে দেব।
রিঙ্কি: শুভা, তুই এই ছােট মেডেলটা কিসের জন্য পেয়েছিস?
শুভা: খেয়াল গাওয়ার জন্য?
রিঙ্কি: আর এই বড়টা?
শুভা: খেয়াল থামানাের জন্য!
কয়েকদিন স্কুলে যাওয়ার পর বালক ফিরে এসে মাকে বলল, “আমি আর স্কুলে যাব না।”
মা বললেন, “কেন, কী হয়েছে
বালক বলল, “আন্টি মঙ্গলবার বললেন, চার আর চারে আট হয়। বুধবার বললেন, ছয় আর দুইয়ে আট হয়। আজ বললেন, সাত আর একে আট হয়।
আন্টি যতদিন না মন স্থির করছেন, আমি স্কুলে যাব না।”
পথচারী: আপনি কি অন্ধ ?
ড্রাইভার: কেন, আপনাকে কি ধাক্কা মারিনি?
পথচারী: নিশ্চয় মেরেছেন।
ড্রাইভার: তা হলে আমাকে অন্ধ বলছেন কী করে?
বাবাই: বল তাে ঠাণ্ডা আর গরমের মধ্যে কোনটা বেশি দ্রুত ছড়ায়।
তিতলি: গরম
বাবাই: কেন?
তিতলি: আমাদের ঠাণ্ডা লেগে যায় যে!
প্রথম রেস্তরাঁ বয়: দ্যাখাে কাণ্ড। দু নম্বর টেবিলের ভদ্রলােক আবার ঘুমিয়ে পড়েছেন। এই নিয়ে তিনবার হল। যাই, জাগিয়ে দিয়ে আসি।
দ্বিতীয় রেস্তরাঁ-বয়: ওঁকে টেবিল থেকে তুলে, বার করে দাও না।
প্রথম রেস্তরাঁ-বয়: তাতে আমারই ক্ষতি। প্রতিবার ঘুম ভাঙিয়ে ওঁকে তুলছি আর উনি প্রতিবার ওঁর বিল মেটাচ্ছেন।
উকিল : আপনি বলছেন, দুর্ঘটনার সময় আপনি ১০০ ফুট দূরে ছিলেন।
তা হলে ঠিক কী ঘটেছে আপনি দেখলেন কী করে?
সাক্ষী: এ আপনি কী বলছেন? সূর্য তাে পৃথিবী থেকে অনেক দূরে, তা বলে কি সূর্যকে দেখা যায় না?
মা: আমাদের জমানাে টাকা এত তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায় কেন বলাে তাে?
বাবা: সমস্যা হল, আমি সপ্তাহে পাঁচদিন আয় করি আর সাতদিন খরচ করি যে!
আরও পড়ুনঃ গল্পঃ প্রেম
মেজোদাদু: রুনু, তুমি তা হলে তিন রকমের চশমা ব্যবহার করাে?
রুনু: হ্যা দাদু।
মেজোদাদু: একটু খােলসা করে বলাে তাে ব্যাপারটা।
রুনু: একটা চশমা দূরের জিনিস দেখতে, একটা চশমা কাছের জিনিস দেখতে আর একটা ওই চশমা দুটো খুঁজতে।
Best bangla jokes of all time
আদালতে বিচার চলছে। সাক্ষী উকিলের প্রশ্নের উত্তরে বলতে শুরু করল, “আমার মনে হয়…”
“মনে হয়-টয় নয় যা জানাে তাই বলাে।”
উকিল মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে বললেন।
সাক্ষীর জবাব, “মশাই, আমি তাে উকিল নই যে না জেনে কথা বলব?”
পাপাইকে জুতাে-মােজা আর জামা-প্যান্ট পরে শুতে দেখে মা অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, “কী রে, এসব পরে কি কেউ শুতে যায় ?” “কাল স্বপ্নে কপিলদেবের সঙ্গে হঠাৎ দেখা। সঙ্গে অটোগ্রাফ খাতাটাও ছিল না, আর স্লিপিং স্যুট পরেছিলাম। তাই লজ্জায় সামনে যেতেই পারিনি, আজ আর ছাড়ছি না।”
পড়াতে বসে মেজোদাদু বললেন, “আজ তুমি কাশ্মীরের মানচিত্র আঁকবে।।
যত তাড়াতাড়ি আঁকবে ছুটি পাবে তত তাড়াতাড়ি।”
বুলান সঙ্গে সঙ্গে খাতার একটা সাদা পাতা দেখিয়ে দিল দাদুকে।
দাদু বললেন, “কী হয়েছে বুলান ?”
বুলান বলল, “দাদু, গতকাল টিভিতে বলেছে যে, গত তিনদিন ধরে ভীষণ বরফপাত হচ্ছে। তাই সব বরফে ঢেকে গেছে।”
দীর্ঘদিন বাতের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন হরিবাবু। ভাল হয়ে ডাক্তারবাবুর কাছে এসে বললেন, “ডাক্তারবাবু, আপনি সত্যিই কথা রেখেছেন। বলেছিলেন। না, একমাসের মধ্যে আমি হাঁটতে পারব। এই দেখুন, কেমন হাঁটছি আজকাল।”
অধ্যাপক: (একজন পােষাক প্রস্তুতকারকের ছেলেকে প্রশ্ন করেন) আচ্ছা বলতে পার, আমাদের ক’টা ঋতু আছে? তাদের নামই বা কি?
ছাত্র : দুটি। একটা ব্যস্ততা, ও অন্যটা ঢিলে ঢালা।
ছাত্র: একজন বৃদ্ধকে তার নিরানন্দময় জীবন থেকে আনন্দময় জীবনে ফিরিয়ে আনা যায় কেমন করে স্যার?
অধ্যাপক: তার যুবা বয়সের নানান রকম রসিকতার কথা তাকে মনে করিয়ে দিয়ে।
রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র বিদ্যাসুন্দর কাব্য হাতে রাজসভায় ঢুকলেন। ঢােকামাত্র গােপাল চেঁচিয়ে উঠলাে, করছেন কি রায়গুণাকর! ও রসের কাব্যটা ঢেকে রাখুন!
ভারতচন্দ্র: কেন?
গােপাল ? মাছি পড়বে যে।
এক ফিরিঙ্গী বন্ধু গােপালকে: আচ্ছা গােপাল শুনেছি হিন্দুদের শাস্ত্রে আছে—কেউ কাশীতে মরলে শিব হয়, আর ব্যাসকাশীতে মরলে গাধা হয়।
আচ্ছা, কাশী আর ব্যাসকাশীর মাঝামাঝি জায়গায় মরলৈ সে কি হয় ?
গােপাল–ফিরিঙ্গী হয়।
(সমাপ্ত)