Last updated on July 4th, 2023 at 12:49 am
১. আবোল তাবোল ( Abol Tabol )
লেখকঃ সুকুমার রায়
২. সহজ পাঠ ( Sahaj Path)
লেখকঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সহজ পাঠ রবি ঠাকুরের এক অসামান্য সৃষ্টি, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি যুগান্তরকারি বই। পশ্চিমবঙ্গে সরকারী ও সরকারী সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলগুলিতে সহজ পাঠ আবশ্যিক পাঠ্য হিসেবে পড়ানো হয়। বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয়ের ভাষা যতটা উচ্চতর, সহজ পাঠের ভাষা ততই সহজ ও সাবলীল। চলিত ভাষায় লেখা এই সহজ পাঠ ” ছোটো খোকা বলে অ-আ, শেখেনি সে কথা কওয়া ” দিয়ে শুরু।
৩.পঞ্চতন্ত্র গল্প সমগ্র ( Panchatantra Golpo Samagra )
লেখকঃ পৃথীরাজ সেন
পশুপাখির মধ্যে মানুষের আচার-ব্যবহার আরোপ করে প্রাচীন ভারতে এক ধরনের গল্প রচিত হয়েছিল। এর প্রথম নমুনা পাওয়া যায় পালি জাতক-সাহিত্যে। পঞ্চতন্ত্র পহলবী ভাষায় অধুনালুপ্ত রূপটি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে উদ্ভূত হয়েছিল। সুতরাং মূল পঞ্চতন্ত্র এর কিছুকাল আগে রচিত। এর রচয়িতার নাম জানা যায় না। ‘পঞ্চতন্ত্র কথামুখম্’-এ এর প্রণেতা হিসেবে বিষ্ণুশর্মার নাম পাওয়া যায়। আধুনিক পণ্ডিতদের অনেকের মতে এই নামটি কাল্পনিক। তবুও বিষ্ণুশর্মার নামেই পঞ্চতন্ত্র আজ পর্যন্ত প্রচলিত। পঞ্চতন্ত্র সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
৪. গোগোল সমগ্র ( Gogol Samagra )
লেখকঃ সমরেশ বসু
গোগোল সমগ্র হল বাচ্চাদের জন্য খুব বিখ্যাত একটি অ্যাডভেঞ্চার বই, সমস্ত ছোট্ট বন্ধুরা, এই বইটি থেকে গোগলের সাহসিকতা এবং দক্ষতা সম্পর্কে প্রচুর গল্প জানতে পারবে। এই গল্পের বইতে গোগল হল একজন বিখ্যাত গোয়েন্দা। বইটি লিখেছেন বিখ্যাত বাঙালি লেখক সমরেশ বসু।
৫. টুনটুনির বই ( TunTunir Boi )
লেখকঃ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরি
গল্প বইটি সাধারণ শিশুতোষ গল্প বই। এখানে রয়েছে নানান গল্প এবং নানান ক্যারেক্টার। কোন সময় দেখা যায় পাখি নিয়ে গল্প আবার কোন সময় দেখা যায় শিয়াল নিয়ে গল্প। এখানে বলতেগেলে শিয়াল নিয়ে গল্পই বেশি প্রকাশ পেয়ে। তাইবলে শুধু শিয়াল নয়, সাথে রয়েছে আরো প্রাণী নিয়ে গল্প। গল্প বইয়ে প্রথম গল্পে রয়েছে এক টুনটুনি পাখির গল্প। সেখানে সে থাকে এক গাছে এবং এক বিড়াল আসে তার কাছে, তাকে খেতে ও তার ডিম বা বাচ্ছাকে খেতে। আর সে পাখি প্রতিদিনই বিড়ালকে বশ করে নে তার প্রশংসা করে।
রয়েছে আরো এরকম শিয়াল, বাঘ, কুমির, মানুষ, পখি ইত্যাদি প্রাণীদের নিয়ে মজাদার গল্প। সথে রয়েছে অনেক শিক্ষনীয় গল্প। রয়েছে মজাদার কৌলশগত গল্প।
৬. নন্টে ফন্টে ( Nonte Fonte )
লেখকঃ নারায়ন দেবনাথ
বাংলা কমিকস পাঠকদের কাছে নন্টে ফন্টে একটি অতি পরিচিত নাম – নারায়ন দেবনাথের অবিস্মরনীয় সৃষ্টি নন্টে ফন্টে সর্বপ্রথম কিশোর ভারতী পত্রিকার জন্য রচিত ও বিচিত্রিত হয়, তার পরে এটিকে পত্র ভারতী প্রকাশনী যারা কিশোর ভারতীর ও প্রকাশক, তারা বই আকারে প্রকাশ করে থাকে। পরবর্ত্তি কালে নন্টে ফন্টেকে নিয়ে কার্টুন সিরিয়ালও বানানো হয়েছে!
নন্টে ফন্টের সমস্ত গল্প একটি অনামী মফস্বল শহরকে ঘিরে – এই দুটি চরিত্র ওই শহরের একটি বোর্ডিং স্কুলে পড়ে ও সেখানকার হোস্টেল এ থাকে| নন্টে ফন্টের প্রায় সমস্ত গল্পেই ওই বোর্ডিং স্কুলের বিভিন্ন চরিত্ররা যেমন সুপারিন্তেন্দেন্ট স্যার, কেল্টু’দা, রান্নার ঠাকুর ও তাদের অন্যান্য সহপাঠীরা হাজির আছে।
৭. ঠাকুরমার ঝুলি ( Thakurmar Jhuli )
লেখকঃ দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার
ঠাকুরমার ঝুলি বইটি দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার এর লেখা জনপ্রিয় একটি বই। ঠাকুরমার ঝুলি বইটি লেখকে পাঠকের মধ্য তার একটি আলাদা পরিচয় তৈরি করে দেয়। ঠাকুরমার ঝুলি বইটি দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার এর লেখা অন্যতম একটি বই। ঠাকুরমার ঝুলি বইটির কারণে লেখক পাঠক সমাজে বহুল খ্যাতি লাভ করে। ঠাকুরমার ঝুলি দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার বইটিতে দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার তাঁর লেখার প্রতিভার প্রমান দিয়েছেন ।দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার লেখা ঠাকুরমার ঝুলি অসাধারাণ বইটির মাধ্যমে পাঠকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। শুধু তাই নয় দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার এর ঠাকুরমার ঝুলি বইটি তার অন্যান্য বইগুলো থেকে ভিন্নধর্মী একটি বই। দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার ঠাকুরমার ঝুলি বইটির জনপ্রিয়তা ছিলো আকাশ ছোয়া। ঠাকুরমার ঝুলি বইটি দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার এর শ্রেষ্টবই গুলোর একটি বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
৮. পাগলা দাশু ( Pagla Dashu )
লেখকঃ সুকুমার রায়
এই বইটিতে পাগলা দাশুকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি ছোটগল্প রয়েছে। তিনি একজন স্কুলছাত্র এবং এই চরিত্রটি তার পাগলাটে স্বভাব এবং খুব সূক্ষ্ম হাস্যকর কুইজিকাল-এর জন্য বিখ্যাত। গল্পগুলি মূলত শিশু পাঠকদের প্রিয় গল্প। এই চরিত্রটি বাঙালি শিশুসাহিত্যে খুবই জনপ্রিয়। ‘পাগলা দাশু’ ছোটগল্পের এই সংকলনটি সুকুমার রায়ের মৃত্যুর ১৮ বছর পরে ১৯৪০ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এটি তাঁর প্রথম গল্প সংকলন।
তবে গল্পগুলি সুকুমার রায়ের জীবদ্দশায় তাঁর সম্পাদিত ম্যাগাজিন ‘সন্দেশ’ পত্রিকায় এই গল্পগুলি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।
৯. গোপাল ভাঁড় ( Gopal Bhar )
লেখকঃ দাকেশনারঞ্জন মজুমদার
গোপাল ভাঁড়ের আসল নাম হল – গোপাল চন্দ্র প্রামানিক। তিনি মধ্যযুগীয় রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভার একজন নবরত্ন ছিলেন। গোপাল ভাঁড়ের চরিত্রটি নিয়ে এখনো বিভিন্ন ঐতিহাসিক এবং গবেষকদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। গোপাল ভাঁড়ের গল্পগুলি এখনো ছোট -বড়ো সবার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গোপাল ভাঁড়ের গল্প চিরনবীন। সমস্যা জর্জর বাঙালি-জীবনে কর্মব্যস্ততার সঙ্গে সময়ের অভাব যতই থাকুক রঙ্গরসিকতা থাকবেই। আর গোপাল ভাঁড়ও তাই থাকবেন হাসির রাজা হয়ে।
১০. হ য ব র ল ( Ha Ja Ba Ra La )
লেখকঃ সুকুমার রায়
হ য ব র ল বাংলা সাহিত্যের ননসেন্স ধারার একটি শ্রেষ্ঠরচনা। রচনাটির শৈল্পিক সৌন্দর্য ও তাৎপর্য বোঝাতে গিয়ে অনেকে একে এলিস ইন দ্য ওয়ান্ডারল্যান্ডের সাথে তুলনা করেন যদিও দুটি গল্প সুরে-স্বভাবে, সাংস্কৃতিক পটভূমি, ও ভাষিক কারুকার্যে সম্পূর্ণভাবে আলাদা।
গল্পটা শুরু হয় একটা বাচ্চা ছেলের ঘুম থেকে উঠার মধ্যে দিয়ে। গরমকালে ঘাম মোছবার জন্য রুমালটা তুলতে গিয়ে সে দেখে তার রুমাল একটা বেড়াল হয়ে গেছে। বেড়ালটার সাথে সে গল্প করতে শুরু করে এবং বুঝতে পারে বেড়ালটা উল্টোপাল্টা কথা বলছে। পরে ছেলেটার দেখা হয় কাকেশ্বর নামক দাঁড়কাক সাথে যে বিদঘুটে হিসাব করে। এরপরে একে একে উদো আর বুদো, হিজিবিজবিজ, ব্যাকরণ শিং, নেড়া, সজারু, প্যাঁচা ইত্যাদি আরও অনেক চরিত্রের অনুপ্রবেশ ঘটে আর বাড়তে থাকে বিশৃঙ্খলা। গল্পের চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটে বাচ্চা ছেলেটির ঘুম থেকে উঠার মধ্যে দিয়ে।