26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য ও ভাষণ কীভাবে শুরু করবেন ও প্রজাতন্ত্র দিবসের বক্তৃতা কীভাবে শেষ করবেন। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কিছু কথা খুব সুন্দর করে এই পোস্টটির মধ্যে দেওয়া আছে। আমরা আশা রাখছি আমাদের দেওয়া এই 26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য pdf download ফাইল টি আপনার বক্তৃতায় যথেষ্ঠ সহযোগিতা করবে এবং অনুষ্ঠানের সেরা বক্তৃতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
২৬শে জানুয়ারি দেশ জুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মহাসমারোহে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়ে থাকে। এই জন্যে দেশের আদালত, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস বন্ধ রাখা হয়। এই বছর আমরা ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করবো।
26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য
প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য – 1
মাননীয় শিক্ষক ও শিক্ষিকাগণ এবং আমার প্রিয় সকল বন্ধুদেরকে সুপ্রভাত জানাই। আমরা সকলেই জানি আজ আমরা সকলে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করার জন্য এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমার নাম প্রশান্ত মন্ডল ( আপনার নাম বলবেন), আমি আজকের এই প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশেষ মুহূর্তে একটি ছোট বক্তৃতা আপনাদেরকে সকলের মাঝে তুলে ধরবো। সবার প্রথমে আমি আমার শিক্ষক এবং শিক্ষিকাগণ কে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আজকে আমাকে এই সুযোগ করে দিয়েছেন।
এই বছর আমরা ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করবো। আজকের দিনে ভারত বর্ষ একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি ভারতের সংবিধান কার্যকর করা হয়। এই সংবিধানের মাধ্যমে ভারত বর্ষ একটি প্রজাতন্ত্র দেশ হিসেবে পরিণত হয়।
আমাদের সকলের জীবনেই বছরের বেশ কিছু তারিখ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তেমনই একটি তারিখ হল ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস। নেতাজি জন্মজয়ন্তীর পরপরই এই দিনটিকে ঘিরে আমাদের সকলের দেশাত্মবোধ উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে। প্রত্যেক ভারতীয়দের মনেই তাই এই দিনটির অসীম তাৎপর্য। দেশের নানা প্রান্তে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আর কুচকাওয়াজের মাধ্যমে পালিত হয় দিনটি।
প্রজাতন্ত্র দিবস আমাদের জন্য অত্যন্ত একটি গৌরবের দিন। এই দিনে আমরা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই ও সন্মান জানাই। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা পুনর্ব্যক্ত করে থাকি।
জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী ২৬ জানুয়ারিকে নাম দিয়েছিলে ‘স্বতন্ত্রতা সংকল্প দিবস’। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ১৯২৯ সালের শেষদিকে পূর্ণ স্বরাজ আনার শপথ নেওয়া হয়েছিল। এরপরই ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি ওই দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস বলে ঘোষণা করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত এটি কার্যকর হয়নি। ১৯৪৭ সালে দুশো বছরের পরাধীনতা ঘুচিয়ে ভারত যখন ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৫ অগাস্টই স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা পায়।
- আরও পড়ুন:
- প্রজাতন্ত্র দিবসের ছুটি নিয়ে কিছু কথা কবে থাকছে সরকারি ছুটি?
- প্রজাতন্ত্র দিবস সম্পর্কে দুটি বাক্য
এর ফলে ২৬ জানুয়ারি তারিখের তাৎপর্যে বদল আসে। স্বাধীনতা অর্জন ১৯৪৭ সালে হলেও তখনও সংবিধান তৈরি হয়নি। প্রায় আড়াই বছর পর তৈরি হল পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম সংবিধান, ভারতের সংবিধান। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর করা হল দেশের সংবিধান। সেই থেকেই ২৬ জানুয়ারিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সব শেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল সভ্যগণ কে আরো একবার আমার শ্রদ্ধা পূর্বক প্রণাম জানাই এবং বন্ধুবান্ধব সহপাঠীবৃন্দ তথা সমগ্র দেশের সাহায্যকারী সকলকে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের এই ছোটো বক্তব্যটি এখানেই শেষ করলাম। ধন্যবাদ নমস্কার সবাই ভালো থাকবেন।
26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য pdf download
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন ছাড়াও দেশের প্রতিটি কোনায় ব্যক্তিগত তথা সমষ্টিগত ভাবেও প্রজাতন্ত্র দিবস উৎযাপন করা হয়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে উত্তোলন করা হয় দেশের জাতীয় পতাকা, ধ্বনিত হয় জাতীয় সংগীত। ছোট ছোট শিশুদের মাঝে চকলেট, বিস্কুট ও মিষ্টি বিলি করা হয়।
প্রজাতন্ত্র দিবসের এমন উদযাপনের মাধ্যমে দিনটি রাজনৈতিক গুরুত্বের ঊর্ধ্বে উঠে একটি সামাজিক মেলবন্ধনের উৎসবে পরিণত হয়। এই উৎসবের মাধ্যমে দেশের মানুষ যেমন একে অপরের সাথে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলে, তেমনই ভারতবর্ষের সংবিধান এবং প্রজাতান্ত্রিক ঐতিহ্যের প্রতি জনগণের সম্মান তথা আস্থা বৃদ্ধি পায়।
26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য pdf ফাইল টি ডাউনলোড করার জন্য নিচের দেওয়া ডাউনলোড বক্সে ক্লিক করুন।
প্রজাতন্ত্র দিবস সম্পর্কে বক্তব্য
প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য – 2
আজ 26 জানুয়ারী, 75 তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক শিক্ষিকা মহাশয়, মা-বাবা ও সকল অতিথিবৃন্দকে শ্রদ্ধা পূর্বক প্রণাম জানাই। এছাড়া আমার স্নেহের সহপাঠী ভাই-বোন ও দাদা দিদি সকলকে আন্তরিক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দু একটি কথা উপস্থাপন করছি।
প্রজাতন্ত্র দিবস হল আপন স্বাধিকার উদযাপনের উৎসব। ভারতবর্ষের মতন পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের মুকুটে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন একটি অতিরিক্ত মাত্রা যোগ করে দেয়। গোটা দেশব্যাপী এই দিনটিকে কেন্দ্র করে দেশবাসীর অহংকার এবং উন্মাদনা কখনো কখনো স্বাধীনতা দিবসের আনন্দকেও অতিক্রম করে যায়। প্রকৃতপক্ষে এই দিনটি পালনের মাধ্যমে ভারতীয় জনগণ নিজেদের দীর্ঘ মানসিক দমন-পীড়ন থেকে মুক্তির আনন্দকেই উদযাপন করে থাকে।
১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট স্বাধীনতা দিবস ভারতবর্ষকে জীবন দান করেছিল এ কথা সত্য, তবে সেই জীবনকে কিভাবে যাপন করতে হবে তা নির্ধারণ করে দিয়েছিল ভারতবর্ষের প্রজাতান্ত্রিক সংবিধান। বছরে একটি মাত্র দিন সকলে একত্রিত হয়ে সেই সংবিধানের উদ্দেশ্যে চিরসম্মান জানানোর মধ্যেই লুকিয়ে আছে প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের প্রকৃত সার্থকতা।
সব শেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল সভ্যগণ কে আরো একবার আমার শ্রদ্ধা পূর্বক প্রণাম জানাই এবং বন্ধুবান্ধব সহপাঠীবৃন্দ তথা সমগ্র দেশের সাহায্যকারী সকলকে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের এই ছোটো বক্তব্যটি এখানেই শেষ করলাম। ধন্যবাদ নমস্কার সবাই ভালো থাকবেন।
প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ভাষণ
প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য – 3
আজ 26 জানুয়ারী 75 তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীবৃন্দ, মা- বাবা, সভাপতি মহাশয় ও অথিতিবৃন্দ সকলকে শ্রদ্ধাপূর্বক প্রনাম জানাই; এছাড়া আমার স্নেহের সহপাঠী, ভাই-বোন ও বয়োজ্যেষ্ঠ দাদা-দিদি এবং আমার আপনজন যাহাদের কাছ থেকে আমি কোনো না কোনো সময় সুশিক্ষা গ্রহণ করেছি তাদের সকলকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দু-একটি কথা উপস্থাপন করছি।
বহু বীর যোদ্ধার বলিদানে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস পা দিল ৭৫ বছরে। আজ স্বাধীন আমাদের দেশ, স্বাধীন আমরাও। কিন্তু, আজও বহু মানুষ এই দিনটির প্রকৃত তাৎপর্য ও ইতিহাস সম্পর্কে অবগত নন। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস কেন পালন করা হয়, সেই সম্পর্কে অনেকই সঠিক তথ্য জানেন না।
ভারতবর্ষ স্বাধীন হয় ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট। স্বাধীনতার পরেও দেশের প্রধান হিসেবে বহাল ছিলেন ষষ্ঠ জর্জ এবং গভর্নর জেনারেল লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন। তখনও দেশে স্থায়ী সংবিধান না থাকার ফলে ঔপনিবেশিক ভারত শাসন আইনে কিছু রদবদল ঘটিয়েই চলতে থাকে দেশ শাসনের কাজ। পরে ১৯৪৭ সালের ২৮শে আগস্ট স্থায়ী সংবিধান রচনার জন্য ড্রাফটিং কমিটি গঠন করা হয়, যার চেয়ারম্যান ছিলেন ভীমরাও রামজি আম্বেডকর।
১৯৪৭ সালের ৪ নভেম্বর ড্রাফটিং কমিটি একটি খসড়া প্রস্তুত করে গণপরিষদে জমা দেয়। হাজারো লড়াইয়ের পর ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত হয় ভারতীয় সংবিধান। তার দু’দিন পর অর্থাৎ ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয় ভারতীয় সংবিধান। সেই থেকেই প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি পালিত হয়ে আসছে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস। ভারতের এই সংবিধান গঠনে সময় লাগে প্রায় ২ বছর ১১ মাস ১৭ দিন।
উল্লেখ্য, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ১৯২৯ সালে ‘পূর্ণ স্বরাজ’ ঘোষণার পর ১৯৩০ সাল থেকে ২৬ জানুয়ারিকে স্বাধীনতার দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে, পরে দিনটি পাল্টে গিয়ে ভারতবর্ষে যেদিন স্বাধীনতার পতাকা উদিত হয়েছিল, সেইদিনটিকেই স্বাধীনতার দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। ঘটনাচক্রে, দিনটি ছিল ১৫ অগাস্ট। যার ফলে পাল্টে গিয়েছিল ২৬ জানুয়ারির গুরুত্ব। সংবিধান রচনার পর তা কার্যকর করার জন্য একটি দিনের প্রয়োজন ছিল। তখন ঐতিহাসিক গুরুত্বের বিচারে ২৬ জানুয়ারিকেই বেছে নেওয়া হয় প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে।
সব শেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল সভ্যগণ কে আরো একবার আমার শ্রদ্ধা পূর্বক প্রণাম এবং আমার স্নেহের সহপাঠী ভাই-বোন ও দাদা দিদি সকলকে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের এই ছোটো বক্তব্যটি এখানেই শেষ করলাম। ধন্যবাদ নমস্কার সবাই ভালো থাকবেন।
26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তব্য গুলো আপনার কেমন লাগলো মন্তব্য করে জানাবেন যদি পোষ্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।