WhatsApp Channel
Follow Now
Telegram Group
Follow Now
Last updated on July 4th, 2023 at 12:50 am
রঙ্গ-রসিকতার প্রচলন শুধু আজকে নয়, Bengali jokes for Whatsapp এই রঙ্গ-রসিকতার প্রচলন যুগযুগান্তর থেকে চলে আসছে। আমরা যদি অতীতের দিকে ফিরে তাকাই, তাহলে দেখতে পাব এই রঙ্গ রসিকতা বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পরিবেশিত হয়েছে। এই রসিকতার আড়ালে কত জনের গভীর সুখ দুঃখ ও বেদনার অন্তর্নিহিত অর্থ লুকিয়ে আছে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশগুলিতে এই রসিকতার প্রচলন আমরা দেখতে পাই। অবশ্য নানা দেশে এর প্রকাশ ভঙ্গিও নানান রকম। আমাদের দেশে গােপাল ভাঁড়, বীরবল প্রভৃতির রঙ্গ-রসিকতা সর্বজন বিদিত।
বর্তমানে সম্যসায় জর্জরিত মানুষ যেখানেই একটু হাসির খােরাকের সন্ধান পান, সেখানেই ছুটে যান তার বিষাদময় জীবনে সামান্যতম হাসির ধারা বইয়ে দেবার জন্য। এই কথা মাথায় রেখে ছােট বড় সকলের জন্য Best Bangla jokes লেখার চেষ্টা করেছি। ভাল মন্দের বিচারের দায়িত্ব ছেড়ে দিলাম আমার সুহৃদ পাঠক ও পাঠিকাদের ওপর। তাদের জীবনে সামান্যতম আনন্দ দিতে পারিলে, তবেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে। জোকস গুলো পড়িয়া কেমন লাগিল অবশেষে কমেন্ট করিয়া জানাইতে ভুলিবেন না।
Whatsapp Bengali Jokes – বাংলা মজার জোকস
রবীন্দ্রনাথ
একবার এক গানের আসরে রবীন্দ্রনাথ প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত।
সেই আসরে তখন প্রখ্যাত গায়ক গােপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় গান গাইছেন।
গােপেশ্বরবাবুর গান শেষ হতেই কয়েকজন এসে ধরল রবীন্দ্রনাথকে।
অনুরােধ—গান গাইতে হবে। রবীন্দ্রনাথ তাদের নিরাশ না করে বললেন,
‘গান গাওয়াটা তাে বড়াে কথা নয় হে। আসল কথা হল, গােপেশ্বরের পর
এই ‘দাড়িশ্বর’-কে কি মানাবে?’
শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক ক্ষিতিমােহন সেনের বিশিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন চারুচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায়। চারুবাবু শান্তিনিকেতনে গিয়ে কয়েকবার ক্ষিতিমােহনবাবুর
অতিথি হন। সেই সূত্রে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গেও চারুবাবুর পরিচয় হয়ে গিয়েছিল।
একবার চারুবাবু শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে বসে কথা বলছেন, এমন
সময় ক্ষিতিবাবু এসে বললেন, ‘চলাে চারু একটু বেড়িয়ে আসি।
ক্ষিতিবাবুর কথা শুনে কবি হেসে বললেন, ‘যখনই চন্দ্র (চারুচন্দ্র) ক্ষিতি
(অর্থাৎ পৃথিবী ) আর রবির (সূর্য) মাঝখানে পড়েছেন, তখনই জানি যে,
রবির গ্রহণ লাগবেই।
একবার এক কুঁচ তেলের কোম্পানি কবিকে কয়েক শিশি তেল উপহার
দিয়ে একটা প্রশংসাপত্র লিখে দিতে বলেছিল। প্রথমটায় কবি রাজি হননি।
কিন্তু তাদের অনেক অনুরােধ উপরােধে শেষে সম্মত হন। কবি লিখলেন,
ইহাদের কুঁচ তৈল ব্যবহার করিয়া আমি যৎপরােনাস্তি আনন্দ পাইয়াছি।
আমার মস্তকের দুই স্থানে দুইটি টাক ছিল। এখন দুইয়ে মিলিয়ে একটি টাকে পরিণত হইয়াছে। ট্রাকের সংখ্যা হ্রাসের কথা বিবেচনা করিলে সত্যিই ইহাদের তৈলের গুন অসাধারণ।
বিখ্যাত ঐতিহাসিক ড. কালিদাস নাগ একবার শান্তিনিকেতনে গেলে
কবি বললেন ‘তােমার ঠিকানাটা কী হে? দিয়ে যাও তাে। জেনে রাখা
ভালাে, কালিদাসবাবু ওই সময়ে তার মামার কাছে থাকতেন। তার মামা
বিজয়কৃষ্ণ বসু তখন কলকাতার জু গার্ডেনের সুপারিটেণ্ডেন্ট ছিলেন। তিনি
সেখানেই সপরিবারে কোয়ার্টারে থাকতেন। এর বেশ কিছুদিন পর
কালিদাসবাবুর নামে কবির কাছ থেকে এক পত্র এসে হাজির। তাতে
ঠিকানা হিসাবে লেখা ছিল—
Sri Kalidas Nag. C/O. Bijoy Krishna Bose. Zoo-Gar-
den, (Human Section).
রবীন্দ্রনাথ নাম নিয়ে বহু রসিকতা করেছেন। যেমন একবার খ্যাতনামা
ঐতিহাসিক ড. কালিদাস নাগ শান্তিনিকেতনে যাওয়ার আগে প্রতিবারের
মতাে চিঠি দিলেন। কবির সেক্রেটারি সে চিঠি পড়ে কবিকে তা জানালেন।
কবি শুনে বললেন, নাগ দম্পতি তাে আসছেন, কিন্তু শিশুনাগগুলিকে কোথায়
রেখে আসছেন, শুনি?
বিদ্যাসাগর
এক বিবাহবাসরে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বঙ্কিমচন্দ্র উভয়েই নিমন্ত্রিত।
দু’জনেই সুবেশিত। দেখা হতেই বঙ্কিমচন্দ্র, বিদ্যাসাগরের পায়ে শুড়-তোলা
চটিজোড়া লক্ষ্য করে কৌতুক করলেন—“আচ্ছা, সাগর (বিদ্যাসাগর) কেন
উৰ্দ্ধমুখে চায় ? বিদ্যাসাগরও দমবার পাত্র নন। সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলেন—
চট্টোপাধ্যায় (চটি) পুরাতন হইলেই বঙ্কিম (বাঁকা) হইয়া যায়।
সুভাষচন্দ্র
কংগ্রেসের ফাণ্ডে তখন খুব অর্থাভাব। সে সময়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ও
তার স্ত্রী বাসন্তীদেবী নেতাজীকে বললেন, ‘একটি বড়ােলােকের মেয়েকে বিয়ে
করলে কংগ্রেসের কাজে লক্ষাধিক টাকা পাওয়া যাবে। সুতরাং ব্যাপারটা
একবার ভেবে দেখলে হয় না?’ একথা শুনে নেতাজি মুচকি হেসে বললেন,
‘হা অমন বিয়ে করলে লাখখানেক টাকা পাওয়া যাবে ঠিকই, কিন্তু আমাকে
আর পাওয়া যাবে না। এখন আপনারাই বলুন, কোন্টা বেছে নেবেন।
রজনীকান্ত
কবি রজনীকান্ত সেন একবার এক বন্ধুর বিয়েতে নিমন্ত্রিত। বন্ধুটির সেটি
দ্বিতীয় বিবাহ। বাসি বিয়ের দিনে ফেরার সময় নববধূ প্রবল জ্বরে পড়েন।
বন্ধুটি তাকে জানান, জ্বর ১০০ ডিগ্রি। তা শুনে রজনীকান্ত মুচকি হেসে
বলেন, আগেও এক সতীন, এখনও একশাে তিন ?
বিধান রায়
ডাঃ রায়ের মন্ত্রীসভার মন্ত্রী যাদবেন্দ্র পাঁজা জুতাে পরতেন না, খালি
পায়েই থাকতেন। মন্ত্রী পরিষদের এক বৈঠকে অপর এক মন্ত্রী কালিপদ
মুখােপাধ্যায়কে আসতে দেখে ডা. রায় কৌতুক করে জিজ্ঞেস করলেন—কী
হে কালিপদ, তুমি তাে এলে, কিন্তু খালিপদ (অর্থাৎ যাদবেন্দ্রবাবু) কোথায় ?
দাদাঠাকুর
শরৎচন্দ্র পণ্ডিত ওরফে দাদাঠাকুরকে একজন জিজ্ঞেস করল – “আচ্ছা,
দাদাঠাকুর, আপনার উপাধি ‘পণ্ডিত’ হল কী করে? দাদাঠাকুর হেসে ফেলে।
বললেন কোনো বস্তু যখন খণ্ড খণ্ড হয়, তখন তাকে বলে ‘খণ্ডিত। তেমনি
আমি যখনই যেখানে যাই, সেখানকার সব কাজ পণ্ড হয়ে যায়। তাই আমার
ওই উপাধি।
দাদাঠাকুর সস্ত্রীক কলকাতায় এসেছেন তখন। স্ত্রীর একটি পা প্রায় পঙ্গু।
একদিন স্নেহভাজন নলিনীকান্ত সরকার তার কাছে এসে বললেন—‘বউদি
কলকাতায় এলেন, এখানে দেখবার কত কী—চলুন আপনাকে একটু ঘুরিয়ে
আনি। দাদাঠাকুর-পত্নী হতাশ হয়ে বললেন, আমার কী আর সে বরাত রে
ভাই। দেখছ না, কেমন খোঁড়া হয়ে বসে আছি। কাছেই ছিলেন দাদাঠাকুর।
স্বভাবসিদ্ধ হাসি হেসে বললেন—এটা ওঁর লেম এক্সকিউজ। বুঝলে?
এক নিমন্ত্রণ রক্ষার্থে দাদাঠাকুর চলেছে গােরুর গাড়ি চেপে। সঙ্গী স্নেহভাজন
নলিনীবাবু। উঁচুনিচু গ্রাম্য রাস্তায় যেতে ভীষণ বেগ পেতে হচ্ছিল তাদের।
প্রচণ্ড ঝাকুনিতে ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। ঝাকুনি খেতে খেতে দাদাঠাকুর
কৌতুক করে বললেন—“ওরে ওরা যে আমাদের শেক দ্য বটল বিফোর
ইউস করে ছাড়ল।
আরও পড়ুনঃ Funny jokes in Bengali 2020
বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধু
বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধু মিত্র দু’জনে ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু; তবে বয়সে দীনবন্ধু
ছিলেন বেশ বড়। দীনবন্ধু ডাক বিভাগের উচ্চপদে কাজ করতেন।
কর্মসূত্রে তাকে নানা জায়গায় যেতে হতাে। একবার আসামের কাছাড়ে
গিয়ে বঙ্কিমের জন্য এক জোড়া চমৎকার কাপড়ের জুতাে কিনে আনেন।
লােক মারফৎ সেই উপহার দীনবন্ধু পাঠিয়ে দিলেন বঙ্কিমকে। সেই সঙ্গে
একটা চিরকুটে লিখলেন, কেমন জুতাে? বঙ্কিম লেখাটি পড়ে হাসলেন।
তারপর যে লােকটি উপহার পৌঁছে দিতে এসেছিল তার হাতে একটা চিরকুট
ধরিয়ে দিলেন। তাতে লেখা ‘ঠিক তােমার মুখের মত।
মাইকেলের সন্ধ্যা-আহ্নিক
অফিস ফেরত মাইকেল মধুসূদন দত্ত বেড়াতে গেছেন পাইকপাড়ার রাজা
ঈশ্বরচন্দ্রের কাছে। কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলার পর মধুসূদন গম্ভীর মুখে হঠাৎ রাজা মশাইকে বললেন,—আমার সন্ধ্যা আহ্নিকের সময় হয়েছে। এবার
তার ব্যবস্থা করুন।
রাজা অবাক হলেন, খ্রীস্টানের সন্ধ্যা-আহ্নিক? তা বন্ধু, ব্যাপারখানা কি?
মাইকেল একটু হাসলেন, গেলাস রূপ কোষায় দু পেগ হুইস্কি রূপ
গঙ্গাজল ঢেলে আমি প্রতি সন্ধ্যার আচমন করে থাকি। সেটাই আমার সন্ধ্যা
আহ্নিক।
বঙ্কিমচন্দ্র বনাম রামকৃষ্ণ
ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অধুর সেনের বেনেটোলার বাড়ীতে শ্রীরামকৃষ্ণ বেড়াতে
এসেছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের অনেক দিনের ইচ্ছা শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গে
আলাপ করার। সুযােগ পেয়ে তিনি দেখা করতে গেলেন। অধর সেন বঙ্কিমকে
সঙ্গে নিয়ে শ্রীরামকৃষ্ণের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন, ইনি সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিম
চাটুজ্যে। অনেক বই লিখেছেন। এখানে আপনাকে দর্শন করতে এসেছেন।
রামকৃষ্ণ একটু হেসে বললে,—বঙ্কিম, কার হাতে পড়ে তুমি বেঁকলে গা।
বঙ্কিমও হেসে ফেললেন—আজ্ঞে হাতে নয়, বেঁকেছি ইংরেজদের বুটের
ঠোক্করে।
রসিক প্যারীচাঁদ মিত্র
এন্টালি অঞ্চলের বিখ্যাত ধনী দেবনারায়ণ দে-এর ছেলের পাকা দেখা।
দেনাপাওনার লম্বা ফর্দ লেখা চলছে। সেই সময়ে প্যারীচাঁদ মিত্র সেখানে
উপস্থিত হলেন, খরচের ফর্দ দেখতে দেখতে রসিক প্যারীচাদ বললেন, একি
মিষ্টান্নে এত কম টাকা? ব্রাহ্মণ বিদায়েও তাে তেমন খরচ করছেন না,
এগুলাে সব বাড়িয়ে দিন।
দেবনারায়ণ—প্যারীবাবু, আপনি তাে বেশ লােক। আমাকে খালি টাকা
দিতে বলছেন?
প্যারীচাঁদ—ভায়া, তুমি দেবে না তাে আর কে দেবে? তােমার নামের
আগে দে, নামের শেষে দে, দিতে তােমাকে হবেই।
দেবেন্দ্রনাথ বানাম তর্করত্ন
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের কাছে গ্রামের পণ্ডিত ও নাট্যকার রামনারায়ণ তর্করত্ন
এসেছেন। তাকে দেখে দেবেন্দ্রনাথ চেঁচিয়ে উঠলেন,—ওরে কে আছিস,
তর্করত্নকে চৌকি দে।
রামনারায়ণ হায়রে আমার কপাল! আমি সৎ গরীব ব্রাহ্মণ, চোরও নই,
ডাকাতও নই। আর আমাকে কিনা চৌকি (পাহারা) দিতে বলছেন ?
যুবক ও ইন্দ্রনাথ
ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন আইনজীবী এবং সাহিত্যিক। পঞ্চানন্দ’
ছদ্মনামে লিখতেন। এক যুবক বঙ্গবাসী পত্রিকার কার্যালয়ে এসে ইন্দ্রনাথকে
বলল—আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করবাে?
ইন্দ্রনাথ–করতে পার?
যুবক-বঙ্কিমবাবুর কোন উপন্যাসটি আপনার মতে শ্রেষ্ঠ?
ইন্দ্রনাথ—(গভীর ভেবে) কৃষ্ণচরিত্র’ নামে বঙ্কিমবাবুর যে উপন্যাসটি
বেরিয়েছে সেটি তুমি পড়েছে কি?
যুবক–(লজ্জিত ভাবে) ওই একটা উপন্যাসই পড়া হয়ে ওঠেনি।
ইন্দ্রনাথ তবে ঐ গল্পটা আগে পড়াে।
আরও পড়ুনঃ গল্পঃ রহস্যময়ী
কেশব সেন ও রসরাজ অমৃতলাল
এক সময় যুবক সমাজের ওপর কেশবচন্দ্র সেনের খুব প্রভাব ছিল। সবাই
তার পােশাক, চলাফেরা, কথাবার্তা নকল করতাে। এমন কি তার দেখাদেখি
অনেক যুবক চোখে সখের চশমাও এঁটেছিল।
একদিন রসরাজ অমৃতলালের সঙ্গে কেশবচন্দ্রের এক সভায় দেখা।
অমৃতলাল বসু হেসে বললেন, মশাই আপনার ভক্তদের কাছে শুনি, আপনার
মত চশমা চোখে না দিলে নাকি স্বপ্নটাও পরিষ্কার দেখা যায় না। কথাটা শুনে
কেচন্দ্র হেসে ফেললেন।
হেনরি ফিলডিং
বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক হেনরি ফিলডিং ছিলেন দরিদ্র অথচ
অমিতব্যয়ী। টাকা পয়সা বুঝে খরচ করতেন না তাই শেষে জীবনে দেনার
দায়ে তকে সব বিষয় সম্পত্তি খােয়াতে হয়। সেই সময় তার এক লেখক বন্ধু
তাকে ঋণের বােঝা যে কি কষ্টকর সে বিষয়ে সান্তনা দিতে এলেন। তখন
ফিডিং তাকে বললেন, ভাইরে, তুমি যদি ঐ বােঝার ওপর আরও ৫০
পাউণ্ড নােটের ভার চাপিয়ে দাও, তবে সেটাও কষ্ট করে বইতে পারব। তা
দেবে নাকি?
চার্লস ডিকেন্স
চার্লস ডিকেন্স তখন হাউস হােল্ডে ওয়ার্ড নামে একটা পত্রিকা সম্পাদনা
করেন। সেই সময় তরুণ কবি ল্যামান ব্ল্যানচার্ড তাঁর দপ্তরে একটি দীর্ঘ
কবিতা পাঠালেন; তার নাম : ‘প্রাচ্যের মুক্তো, খুশি মাফিক গাঁথা। ডিকেন্স
কবিতাটি না ছাপিয়ে ফেরত পাঠালেন। সঙ্গে একটা চিরকুট–ভাই ব্ল্যানচার্ড,
তােমার মালায় বড় বেশী সুতাে, মুক্তো কোথায় ? —ডিকেন্স।
মার্ক টোয়েন
প্রখ্যাত আমেরিকান রসসাহিত্যিক মার্ক টোয়েন একবার বক্তৃতা দিতে
গেছেন ইউরােপের একটা ছােট্ট শহরে। সন্ধেবেলায় বক্তৃতা। সেখানে পৌঁছে।
মার্ক দাড়ি কাটতে একটা সেলুনে ঢুকলেন। দু একটা কথার পর নাপিত
বলল,—মনে হচ্ছে আপনি এখানে নতুন এসেছেন?’ টোয়েন ঘাড় নেড়ে
সম্মতি জানালেন। নাপিতটি এবার বলল, তবে আসার জন্য আপনি সময়টা
ভালােই বেছেছেন কারণ আজ রাতে এখানে মার্ক টোয়েন বক্তৃতা দেবেন।
আপনিও যাবেন নিশ্চয়ই?’–‘পারলে যাব।– টোয়েন উদাসভঙ্গীতে
বললেন।
সে কী ? আপনার টিকিট কাটা হয়নি এখনও ?
নাঃ।
“কিন্তু সব টিকিট তাে বিক্রি হয়ে গেছে। তাে তাহলে আপনাকে
দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। একথা শুনে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে টোয়েন বললেন–
আমার ভাগ্যটাই খারাপ রে ভাই। ওই লােকটা যখনই বক্তৃতা দেয়, আমাকে
দাঁড়িয়েই থাকতে হয়।
সমারসেট মম
সমারসেট মম একবার ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়ে কিছুদিন শয্যাশায়ী ছিলেন। তিনি
যখন প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন সে সময় তার এক অনুরাগী ফোন করে জানতে
চেয়েছিল সে তাকে কিছু ফল ও ফুল পাঠাতে পারে কিনা?
মম হেসে উত্তর দিয়েছিলেন যে, ও দুটির কোনােটাই এখন পাঠানাের
প্রয়ােজন নেই। কারণ ফল পাঠানাের পক্ষে বেশ দেরি হয়ে গেছে। আর ফুল
পাঠানাের সময় এখনও আসেনি।
ভিক্টর হুগাে
ভিক্টর হুগাে তার নতুন উপন্যাস ‘লা মিজারেবল’-এর বিক্রি কেমন হচ্ছে
জানতে চেয়ে চিঠি দিলেন প্রকাশককে শুধু একটি জিজ্ঞাসা চিহ্ন (?) লিখে।
প্রকাশকও তাঁকে উত্তরে লিখে পাঠালেন একটি বিস্ময়বােধক চিহ্ন (!) অর্থাৎ
কিনা, আশাতীত, দারুণ। পৃথিবীর সংক্ষিপ্তসার চিঠি হিসাবে এদুটি আজও
স্মরণীয় হয়ে আছে।
ক্রুশ্চেভ
পরিচয় গােপন করে ক্রুশ্চেভ মস্কোর এক সিনেমা হলে টিকিট কেটে
মাঝের সারিতে বসেছেন। নিউজরিলে ক্রুশ্চেভের ছবি দেখবার সঙ্গে সঙ্গে
সারা হল দাঁড়িয়ে পড়ল। তার প্রতি দেশের মানুষের শ্রদ্ধা দেখে ক্রুশ্চেভের
চোখে জল এসে গেল। হঠাৎ পাশ থেকে একটি লােক বসে থাকা কুশ্চেভের
ঘাড়ে টোকা মেরে বলল, ও মশাই হতে করে লােকটা আপনার দু চোখের
বিষ! আমাদেরও তাই। তবু বােকার মতাে বীরত্ব দেখিয়ে লাভ কী। ধড়
থেকে মুণ্ডুটা খসাতে চান নাকি? চটপট উঠে দাঁড়ান।
উইনস্টন চার্চিল
প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এক সভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন।
তার বক্তৃতা শুনে বিরক্ত হয়ে বিরােধী দলের এক ভদ্রমহিলা মন্তব্য করেন।
‘যদি ওই ভদ্রলােক আমার স্বামী হতেন, তাহলে ওকে আমি বিষ খাইয়ে
মেরে ফেলতাম।
চার্চিল ভদ্রমহিলার কথা শুনতে পেয়ে হাসতে হাসতে বললেন, ম্যাডাম,
আপনি যদি আমার স্ত্রী হতেন, তাহলে আমি নিজেই বিষ খেতাম।
মাও সে তুং
প্রাক্তন চীনা প্রেসিডেন্ট মাও সে তুং যুবসমাজকে দুঃসাহসী কাজে উদ্বুদ্ধ
করতে খরস্রোতা হােয়াং হাে নদীতে সাঁতার কেটেছিলেন। উঠে আসার পর
কে সবাই কিছু বলার জন্য অনুরােধ করল। চারদিকে সন্দেহভরে তাকিয়ে
তিনি বললেন, আমার শুধু একটাই কথা বলার আছে, আমি যখন সাঁতার
কাটছিলাম, তখন ভাবছিলাম কে আমাকে জলে ঠেলে ফেলে দিল?
আরও পড়ুনঃ গল্পঃ আদিম
হিটলার
হিটলার হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট শহরে এক পাগলাগারদ দর্শনে আসবেন।
সব পাগলদের তাই আগেই শিখিয়ে রাখা হয়েছে হিটলার এলেই ‘হেইল
হিটলার’ বলে সবাই হাত তুলে অভিবাদন জানাবে। হিটলার প্রবেশ করা
মাত্র সবাই তাই করল—শুধু একজন ছাড়া। হিটলার তাকে জিজ্ঞেস করলেন,
কী ব্যাপার, সবাই হাত তুলল, তুমি তুললে না যে। সে বলল,—‘স্যার,
আমি তাে পাগল নই, এ হাসপাতালের ওয়ার্ডেন।
বার্নাড শ’
লণ্ডতে এক সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত হয়ে গেছেন বার্নাত শ’। বক্তৃতা দেওয়ার সময় খেয়াল হল বেল্টটা পরতে ভুলে গেছেন। ফলে ঢোলা প্যান্ট বারবার নীচে নেমে আসতে লাগল, আর ভাষণের ফাঁকে ফাকে তিনি একহাতে তা বারবার টেনে তুলতে লাগলেন। একজন তার
পাশেরজনকে বললেন, শ’-এর মতে মানুষের এ ভাবে বারবার প্যান্ট টেনে
তােলাটা বিসদৃশ লাগে।
কথাটা শ’-এর কানে যেতে তিনি মুচকি হেসে বললেন, কিন্তু এটা টেনে
না তুললে যে আপনার আরও দৃষ্টিকটু লাগবে ম্যাডাম।
একদিন বৃদ্ধ বার্ণাড শ’-এর তরুণী সেক্রেটারী জগৎ-বিখ্যাত ঐ নাট্যকারের
কাছে এসে আমতা আমতা করে বলল,—স্যার আপনার কয়েকজন প্রবীণ
বন্ধু সুযােগ পেলেই আমাকে জ্বালাতন করেন। তাই এবার থেকে ওদের
কাছে আমাকে কোন কাজে পাঠাবেন না।
শ’ সেক্রেটারীর কথা শুনে গম্ভীর হয়ে গেলেন। বললেন, তুমি আমার
লেখা “ম্যান অ্যান্ড সুপারম্যান” নাটকটা কি পড়নি? তাতে দেখবে আমি
লিখেছি, চল্লিশ বছর পার করেছে এমন সব পুরুষই আসলে এক একটা
স্কাউড্রেল বা বদের গুরুমশাই।
তরুণী ও সুন্দরী সেক্রেটারী পঞ্চাশাের্ধ বার্ণাড শ-এর মুখের দিকে তাকিয়ে
মুচকি হেসে বলল,—সে স্যার আপনার কাছে এতদিন চাকরী করে ব’
পারছি।
রুশ প্রেসিডেন্ট স্কুল পরিদর্শনে এসেছেন। তিনি ছােট্ট মেয়ে লেবিয়াকে জিজ্ঞাসা করলেন-
তােমার মায়ের নাম কী?
মাতা রাশিয়া।
তােমার বাবার নাম কী?
কমরেড স্তালিন।
বড়াে হয়ে তুমি কী হতে চাও?
অনাথ।
@👉 Bengali Jokes For Whatsapp টি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার এবং কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না…..